সাম্প্রতিক
প্রেস রিলিজ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
মানবাধিকার দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী
আরো জানুন
প্রবন্ধ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মূল্যায়নের উপর উদ্বোধনী কর্মশালা আয়োজন করে ইউএনওডিসি
আরো জানুন
প্রবন্ধ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
মানব পাচারের বিস্তৃত ডাটা কালেকশন সিস্টেম নিয়ে কন্সাল্টেশনের মাধ্যমে গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টা জোরদার
আরো জানুন
সাম্প্রতিক
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ
দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় এবং সকল মানুষ যাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে, তা নিশ্চিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো একটি বৈশ্বিক আহ্বান। বাংলাদেশে নিম্নোক্ত লক্ষ্যগুলো অর্জনে জাতিসংঘ কাজ করছে:
প্রবন্ধ
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রতিবন্ধকতার বাধা পেড়িয়ে জাহিদুলের সাফল্যের কাহিনী
প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটি প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের জীবন ও কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে। দিবসটির লক্ষ্য হলো প্রতিবন্ধকতা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ধারণা দেওয়া এবং প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের মর্যাদা, অধিকার ও ভালো থাকার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়াকে উৎসাহিত করা।
প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের সব ধরনের মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার হয়েছে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অধিকার সনদ (সিআরপিডি) এবং টেকসই উন্নয়নের অ্যাজেন্ডা-২০৩০ এর মাধ্যমে। অধিকারভিত্তিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষগুলোর সম্মানজনক জীবন ও জীবিকার পক্ষে প্রচারণা চালাতে দিবসটি আমাদের সুযোগ করে দেয়।
মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ২০২২ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী সমন্বয়ক পদে ইউএনএফপিএতে যোগদান করেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তাঁকে পূর্ণকালীন স্থানীয় কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা তাঁর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে বসেছিলাম এবং তাঁর জীবন ও কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেছি।
কে বা কী আপনাকে এই ক্ষেত্রে কাজের অনুপ্রেরণা দিল? জাতিসংঘে কাজ করাকালীনসহ আপনার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাগুলো কি বলবেন?
অলাভজনক এই ক্ষেত্রে আসা এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট হতে আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমার প্রতিবন্ধকতা। দুই বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হয়েছিলাম। তারপর আমার জীবন হুইলচেয়ারবন্দী হয়ে পড়েছে। নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। সমাজে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এমনটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রেই ঘটেছে, তা কিন্তু নয়। আর এ কারণেই প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের অধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।
সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের জন্যও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৩ সালে আমি সক্রিয়ভাবে প্রচারণায় নেমে পড়ি। তাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এনজিওগুলো। এর বাইরে আমি অবকাঠামোগত প্রবেশাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্তর্ভূক্তিমূলক পদক্ষেপ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের পদক্ষেপে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতেও আমি কাজ শুরু করি। এসব স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতাই আমার অলাভজনক খাতে আসার পথ তৈরি করেছে।
জাতিসংঘে কাজ করার স্বপ্ন আমার মনে দাঁনা বাঁধে তখনই, যখন বুঝলাম এই বৈশ্বিক সংস্থার বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর সক্ষমতা রয়েছে। আমি জাতিসংঘকে মনে করি একটি শক্তিশালী বল হিসেবে, যার প্রভাব বিস্তারি উদ্যোগ বাস্তবায়নের সক্ষমতা রয়েছে। ব্যক্তিগত প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড কেবল এনজিওতে আমাক কাজ করার পথই সুগম করেনি, বরং আরও অন্তর্ভূক্তিমূলক ও ন্যায্য বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘের লক্ষ্যে অবদান রাখার আকাঙ্ক্ষাও জোরালো করেছে।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষেরা সাধারণত কী অসমতা ও বৈষম্যের শিকার হয়? এগুলো কী লিঙ্গপরিচয় ও প্রতিবন্ধকতার ধরনের ওপর একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়?
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষেরা নানা ধরনের অসমতা ও বৈষম্যের শিকার হয়। প্রতিবন্ধকতার ধরণ ও লিঙ্গপরিচয়ের ভিত্তিতে একেকজন একেকরকম বৈষম্যের শিকার হয়। যাদের চলাফেরায় সমস্যা, তারা নানা জায়গায় যেতে বাধার মুখে পড়ে, অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে না। যাদের ইন্দ্রিয়জনিত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাদের যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। ব্রেইল পদ্ধতি সুলভ না হওয়ায় ইশারা ভাষা শেখা তাদের জন্য সহজ নয়। এতে সীমাবদ্ধতা আরও বেড়ে যায়।
লিঙ্গ ভেদে বৈষম্যের ধরণ ও মাত্রাও পাল্টে যায়। যেমন নারীদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধকিতার শিকার, তারা অনেক সময়ই জটিল বৈষম্যের শিকার হয়। এমনকি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতারও শিকার হয় তাঁরা। স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও সুবিধাবঞ্চিত হয়। লিঙ্গপরিচয় নিয়ে প্রচলিত মানসিকতা এসব চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে দেয়, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের সুযোগ আরও সীমিত করে।
এরপর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এখানেও প্রতিবন্ধকতার ধরণ ও লিঙ্গপরিচয় ভেদে বৈষম্যের ধরণ ভিন্ন হয়। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত ধারণা জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষেরা আরও পিছিয়ে পড়ে।
মোদ্দা কথা হলো, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষেরা নানামাত্রিক জটিল বৈষম্য ও চ্যালেঞ্জের শিকার হয়। সেই বৈষম্য ও চ্যালেঞ্জ আরও জটিল হয় প্রতিবন্ধকতার ধরণ ও লিঙ্গপরিচয়ের কারণে। এগুলো চিহ্নিত করতে প্রয়োজন সামগ্রিক ও আন্তঃখাতভিত্তিক পদক্ষেপ।
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে মুখোমুখি হওয়া কোন বাধা বা বাধাগুলোকে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করবেন আপনি?
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আমার জন্য সবচেয়ে বাধা ছিল যাতায়াত ও প্রবেশের চ্যালেঞ্জ। হুইলচেয়ার ব্যবহার করি আমি। বাংলাদেশে যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমি পড়েছি, তার সবগুলোতেই আমাকে ভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জর মুখে পড়তে হয়েছে। একটি কলেজ তো আমাকে ভর্তি নেবে না বলে জানিয়েই দিয়েছিল। কারণ, তাদের ওখানে হুইলচেয়ারে প্রবেশের সুযোগ ছিল না। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সময় এমন বাধার মুখে কমই পড়তে হয়েছে। ফলে আমার শিক্ষাগ্রহণের পথটা সহজ হয়ে উঠেছিল।
আর কাজের ক্ষেত্রে যদি বলতে হয়, অতীতের প্রতিষ্ঠান বলুন কিংবা বর্তমান- সব ক্ষেত্রেই আমাকে প্রবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। বর্তমান কর্মক্ষেত্র, বিশেষত জাতিসংঘ ভবনে এখনো হুইলচেয়ারে প্রবেশের পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে ওঠেনি। প্রতিদিনই হুইলচেয়ারে প্রবেশ কিংবা বের হওয়ার সময় আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়।
ইউএনএফপিএ, ইউএনভি ও ইউএন বাংলাদেশে আপনার ভূমিকা কী, বিস্তারিত বলবেন?
ইউএনএফপিএতে জাতীয় প্রতিবন্ধী সমন্বয়ক হিসেবে আমি প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্তির কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে চলেছি। পাশাপাশি সংস্থার মানবিক সহায়তায় আরও বেশি প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে তা জোরদার করছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ইউএনএফপিএর প্রতিবন্ধী অন্তর্ভূক্তিকরণ উদ্যোগের জন্য একটি মানসম্পন্ন পরিচালন প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া প্রণয়ন। আমি সক্রিয়ভাবে প্রতিবন্ধী অন্তর্ভূক্তিকরণ এবং ইউএনএফপিএতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রকল্প প্রণয়ন, বিশেষত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মডিউল তৈরিতে জাতিসংঘের সহেযাগিতার পথ অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে থাকি।
পাশাপাশি আমি জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবক (ইউএনভি) হিসেবে ২০২২ সালে জাতিসংঘ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তিকরণ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে কাজ করেছি। আমার বহুমুখী অংশগ্রহণের মধ্যে কেবল সমন্বয় ও প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তির প্রচেষ্টাই নেই, পাশাপাশি বাস্তবিক কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করি আমি। যেমন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেছি আমি। এসব বৈচিত্র্যপূর্ণ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি ইউএনএফপিএ এবং আরও বৃহত্তর পরিসরে জাতিসংঘকে আরও বেশি অন্তর্ভূক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা করে চলেছি।
কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না–এই স্লোগানের ভিত্তিতে জাতিসংঘের প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তিকরণ কর্মসূচি, ইউডিএইচআর আর্টিকেল ২৫, প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অধিকার সনদ প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য ইস্যুর ক্ষেত্রে মানসিকতা ও নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম?
প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তিকরণের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে রয়েছে ‘কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না’–এর মতো নীতি, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার (ইউডিএইচআর) আর্টিকেল ২৫ এবং প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অধিকার সনদ (সিআরপিডি)। এসব নীতির মধ্যে সমাজের মানসিকতা ও নীতি পরিবর্তন করে দেওয়ার মতো সম্ভাবনা রয়েছে। ‘কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না’–নীতিতে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষসহ সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিতকরণ, জীবনের সব ক্ষেত্রে তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার (ইউডিএইচআর) আর্টিকেল ২৫–এ প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তির অধিকার জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করে জাতিসংঘ সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ও সেবাপ্রাপ্তির ওপর জোর দিয়েছে, যার সরাসরি সুবিধাভোগী হচ্ছে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষেরা। প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অধিকার সনদ (সিআরপিডি) একটি পরিকাঠামোর নির্দেশনা হিসেবে কাজ করে। এটি প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের সামগ্রিক অধিকারগুলোর সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছে এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক অন্তর্ভূক্তিকরণে জোর দিয়েছে।
প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে জাতিসংঘের কাজগুলোর পরিসর আইনি পরিকাঠামোকে ছাপিয়ে গেছে। এই নীতিগুলোকে সমুন্নত রেখে জাতিসংঘ প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে সামাজিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। সচেতনতামূলক কর্মসূচি, নীতি নির্ধারণের বিষয়ে প্রচারণা এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক কাজের মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিচ্ছে, তাদেরকে বৈচিত্য ও শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করছে। এই রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ সমাজের প্রথাগত মানসিকতাকে চ্যালেঞ্জ করছে, আরও অন্তর্ভূক্তিমূলক বক্তব্যকে উৎসাহিত করছে।
আপনার কী মনে হয়, প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সবচেয়ে ভূমিকা রেখেছে কোন বিষয়টি? বাংলাদেশে এই কাজটি খুব ভালোভাবে করছেন, এমন কারও উদাহরণ কী টানবেন আপনি?
প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের বিষয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সবচেয়ে ভূমিকা রাখা বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এ ধরনের মানুষের ভিন্ন ধরনের সক্ষমতা ও অবদানের ওপর আলোকপাত করা। গণমাধ্যমে সংবাদ হওয়া, অন্তর্ভূক্তিমূলক নীতি এবং প্রচারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লিঙ্গ ও জাতিগত পরিচয় এবং আর্থসামাজিক অবস্থানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জন ও সক্ষমতাগুলো তুলে ধরার ফলে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসছে। ফলে এই মানুষদের এখন মানবসমাজের বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে গ্রহণ করছে সবাই। এ ছাড়া সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক পরিবেশ সৃষ্টির পক্ষে প্রচারণা প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি ভেঙে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছে।
আমি কয়েকজনকে চিনি, যাঁরা এ কাজ খুব ভালোভাবে করছেন। আমি এ ক্ষেত্রে দুজনের উল্লেখ করতে চাই। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাস্কর ভট্টাচার্য এবং হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী আশরাফুন নাহার মিষ্টি। তাঁরা বাংলাদেশে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ভাস্কর ভট্টাচার্য দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সবকিছু সহজ করা প্রযুক্তিগত সমাধানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর আশরাফুন নাহার মিষ্টি প্রতিবন্ধকতার শিকার নারীদের বাধা দূরীকরণে এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের কাজ ও অর্জন বাংলাদেশে যাঁরা আরও অন্তর্ভূক্তিমূলক ও ন্যায্য সমাজ গঠনে কাজ করছেন, তাঁদের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
আগামী ৫ বছরের মধ্যে আপনি পেশাদার জীবনে কী অর্জন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন বা স্বপ্ন দেখেন?
আগামী পাঁচ বছরে আমি জাতিসংঘ ব্যবস্থায় আরও উচ্চ পর্যায়ে কাজ করতে চাই। জাতিসংঘে কাজ করার বিষয়ে নিজের স্বপ্নে সাড়া দিয়ে আমি এখন সক্রিয়ভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের বৈশ্বিক অন্তর্ভূক্তিকরণ উদ্যোগে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। আরও উঁচু পর্যায়ে গিয়ে আমি বৈশ্বিক পর্যায়ে টেকসই ও ন্যায্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, এমন এক বিশ্ব গড়তে চাই, যা ব্যক্তির সক্ষমতার বিচার না করে সব মানুষের অন্তভূক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি জাতিসংঘ মিশনকে আরও ন্যায়সঙ্গত, সহজ ভবিষ্যৎ গঠনের বিষয়ে আমার ভেতরকার তাগিদ আরও জোরালো করে।
সবশেষে কিছু বলতে চাইবেন?
সবশেষে আমি বলতে চাই, আমার এই যে পথচলা, তা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। এই গল্প নিজের প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইউএনএফপিএতে প্রতিবন্ধকতার শিকার ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভূক্তিকরণ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করা এবং আরও বৃহত্তর পরিসরে জাতিসংঘ ব্যবস্থায় ভূমিকা রাখার। এসব কাজের সময় আমি পরিবর্তনকে অণুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে চলেছি, প্রতিটা স্তরে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভূক্তিকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে চলেছি।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন বিবেচনায় জাহিদুলের অর্জন অসামান্য। তারপরও প্রকাশিতব্য জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ও উন্নয়ন প্রতিবেদন–২০২৩–এর প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের জন্য টেকসই উন্নয়নের কয়েকটি অভীষ্ট অর্জনে বিশ্ব পিছিয়ে পড়ছে। প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের জন্য, তাদের অংশগ্রহণে এই অভীষ্টগুলো অর্জনের প্রচেষ্টাকে আবারও সঠিক গতি দিতে জাতিসংঘ ব্যবস্থায় ও সমাজে আমাদের উদ্যোগগুলোকে তরাণ্বিত করতে হবে। প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষেরা ঐতিহাসিকভাবেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীগুলোর অন্যতম। কখনো কখনো তাদের কেউ কেউ আরও পিছিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতির ধরণে পরিবর্তন, সংহতি, অর্থায়ন ও পদক্ষেপ জরুরি। এই দেশের নীতি, অবকাঠামো, কল্যাণমূলক সেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও মানবাধিকারে প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বৈচিত্র্য প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। এতে আমরা আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মপরিবেশ পাব, জাহিদুলের মতো সহকর্মীকে পাশে পাব।
1 এর 5

প্রবন্ধ
২৮ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে জাতিসংঘের যুব দিবস উদযাপন: তরুণ প্রতিনিধিরা এসডিজি এগিয়ে নিতে তাঁদের কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন
যুব দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ঢাকায় ‘তরুণদের সঙ্গে জাতিসংঘ বাংলাদেশের গোলটেবিল আলোচনা: টেকসই উন্নয়নে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক এক আলোচনায় জন বাংলাদেশি তরুণরা অংশগ্রহণ করেন। জাতিসংঘ ও তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব কমাতে তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এটাই প্রথম কোনো গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন। টেকসই যুব উন্নয়নে আলোচনা, সহযোগিতা ও সমাধান সহসৃষ্টির জন্য একটি প্ল্যাটফরম তৈরির বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস ও সুসান ভাইজ, ইউনেস্কো ঢাকা প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশের ষোলটি জাতিসংঘ সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কর্মীরা গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের কিশোর-তরুণ কারিগরি ওয়ার্কিং গ্রুপের তরুণ সদস্য, তরুণ নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, তরুণ সমাজকর্মী ও পরিবর্তনের অংশীদার, জাতীয় যুব পরিষদের সদস্য, তরুণ শিক্ষাবিদ ও গবেষক এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচিতে কাজ করা তরুণ সদস্যরাও গোলটেবিলে উপস্থিত ছিলেন।
এই গোলটেবিলটি, নিউইয়র্কে ১৯-১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস সামিটে, তরুণদের সম্পৃক্ততার সুপারিশগুলি তৈরি এবং এগিয়ে নেওয়ার একটি সুযোগ প্রদান করেছে। শীর্ষ সম্মেলনটি ২০৩০-এজেন্ডা অর্জনের জন্য অর্ধেক মাইলফলক চিহ্নিত করেছিল। এটি ছিল টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে ত্বরান্বিত অগ্রগতির একটি নতুন পর্বের সূচনা: যেখানে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রূপান্তরমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক নির্দেশনা রয়েছে। সম্মেলনের সেই ক্ষেত্রগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে, যেখানে বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি স্থগিত ছিল; বা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। বাংলাদেশের জন্য, এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে: শিক্ষা, ডিজিটাল রূপান্তর এবং জলবায়ু পরিবর্তন। জাতিসঙ্ঘকে অবশ্যই তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে তারা এই এলাকায় 2030 এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে জড়িত হতে পারে।
সূচনা বক্তব্যে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী বাংলাদেশের জটিল ও পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলোয় তরুণদের সম্পৃক্ত করা কৌশলগত দিক থেকে কতটা জরুরি, তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ”যুব সংগঠনগুলো, যুব আন্দোলন ও নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে এসডিজির মূল বিষয়গুলোর অন্যতম তরুণদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখে চলেছে জাতিসংঘ। আমরা চাই, আজকের এই বৃহত্তর আলোচনা আপনাদের মতামত, পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হোক। আপনাদের সম্পৃক্ত করে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে জাতি-বিশ্ব আপনাদের কথা শুনেছে, আপনাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এভাবে আমরা অভিনব সমাধান খুঁজে পাব, যা বাংলাদেশের সবার জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।”
সুসান ভাইজ, ইউনেস্কো ঢাকার প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের কিশোর ও যুব টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ার বলেন, “যুবরা অসাধারণ শক্তি, নেতৃত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতা দেখায়। তাদের জরুরিভাবে তাদের উদ্যোগে আরও ভাল সমর্থন করা দরকার; তাদের সুবিধাভোগী না হয়ে উন্নয়ন এজেন্ট হিসেবে দেখা উচিত। বিশ্ব উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তরুণদের সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে না এবং করতে পারে না।”
উদ্বোধনী বক্তৃতার পর একটি সেশন পরিচালিত হয়, যেখানে এসডিজি সম্মেলন-২০২৩-এর ফলাফল ও সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। এরপর তরুণ বক্তারা যথাক্রমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি, ডিজিটাল দক্ষতা এবং স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উদ্ভাবন বিষয়ক তিনটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। এই সেশনের পর বিভিন্ন সেশনে ১৭টি এসডিজির ওপর আলোচনা হয়। সবশেষে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনার আলোকে বাংলাদেশে এসডিজি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও তরুণেরা গ্রহণ করতে পারে এমন কার্যকর পদক্ষেপ, প্রকল্প বা উদ্যোগের বিষয়ে সুপারিশ করেন।
এই আয়োজনের পর, জাতিসংঘ ভবিষ্যতে, এসডিজির সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো যেমন পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন, লিঙ্গসমতা, জনগোষ্ঠী, গ্রহ ও সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে কর্মসংস্থান/জীবিকার মতো বিষয়গুলোয় তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আরও গভীর আলোচনার আয়োজন করবে।
মিডিয়া যোগাযোগ:
আনাহিতা আহমেদ
পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার, জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র (UNIC),
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়
anahita.ahmed@un.org; +8801302700765
1 এর 5

প্রবন্ধ
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
খেলাধুলা এবং জীবনে মেয়ে ও ছেলেদের সমান সুযোগের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতে বিশ্বকাপ চলাকালে ইউনিসেফ ও আইসিসির অংশীদারিত্ব
নয়াদিল্লি, ৩ নভেম্বর ২০২৩: মেয়ে ও ছেলেদের সমান অধিকার ও সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দল আজ আহমেদাবাদে ৫০ জন শিশুর সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছে।
ইউনিসেফ ও আইসিসির মধ্যে এক গ্লোবাল পার্টনারশীপের (বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের) আওতায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ‘ক্রিকেট ক্লিনিক’ অনুষ্ঠিত হয় । এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৩ এ অংশগ্রহণকারী মোট দশটি দলের প্রত্যেকে একটি করে ‘ক্রিকেট ক্লিনিক’ বা সেশনে অংশগ্রহন করেন।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে হওয়া সেশনটির মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত দশ-পর্বের এই ‘ক্রিকেট ক্লিনিক’ এর সমাপ্তি ঘটে।
আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস এর ক্রিকেট দলের প্রত্যেকে আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, ধর্মশালা, কলকাতা, লখনউ, মুম্বাই, নয়াদিল্লি ও পুনের স্টেডিয়ামে ১০ই অক্টোবর থেকে ৩ রা নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৫০ জন ছোট ছোট ছেলে ও মেয়েদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে। এসব ক্রিকেট সেশনে, প্রতিটি দল খেলার মধ্য দিয়ে শিশুদের, বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের, বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেয়।
ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেন, “ক্রিকেট লাখ লাখ মানুষকে আন্দোলিত করতে এবং মেয়ে ও ছেলেদের অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আমরা মনে করেছি, মেয়ে ও ছেলে উভয়ের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার পক্ষে প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কাজে লাগানো একটি সময়োপযোগী ও কার্যকরী উদ্যোগ হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী মেয়েদের জন্য জীবন সবসময় সহজ নয়। বিশ্বজুড়ে যত কিশোরী রয়েছে, তার এক-তৃতীয়াংশ বাস করে এই অঞ্চলে। তবে তারা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। প্রতিটি মেয়ের জন্য এই ক্রিকেট সেশন একটি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করবে, যা তাদেরকে সব ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি পাঁচ জন মেয়ের মধ্যে একজন অপুষ্টির শিকার। অর্ধেকেরও বেশি কিশোরী রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। মাত্র ৩৬ শতাংশ মেয়ে মাধ্যমিক স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে। এবিশ্বে যত শিশুবধূ রয়েছে তার প্রায় অর্ধেকের বসবাস এই দক্ষিণ এশিয়ায়।
এই ক্রিকেট সেশনগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন এর মাধ্যমে অল্পবয়সী মেয়ে ও ছেলেরা বিভিন্ন ধরণের দক্ষতা শেখার মাধ্যমে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে, তাদের মাঝে মিলেমিশে কাজ করার মনোভাব তৈরী হয়, এবং নেতা হয়ে গড়ে ওঠার গুনাবলী অর্জন করতে পারে। প্রিয়াঙ্কা ও শবনম নামে দুটি মেয়ে গত ১৩ই অক্টোবর নয়াদিল্লিতে অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট সেশনে যোগ দেয়।
প্রিয়াঙ্কা বলে, “আমরা পুরো দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছি। সবাই খুব আন্তরিক ছিল। আমরা ধরে নিয়েছিলাম তারা বেশ কঠোর হবে। সবমিলিয়ে, এটি একটি দারুণ অনুভূতি ছিল।”
শবনম বলে, “আজ এখানে উপস্থিত থাকা এবং দলটির সঙ্গে দেখা হওয়া আমার জন্য দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। তারা আমাদের খেলার জন্য সঠিক পজিশন এবং কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছে। আমি সত্যিই এটি উপভোগ করেছি।”
আরেক অংশগ্রহণকারী বিকাশ বলে, “এখানে আসা এবং রশিদ খানের সঙ্গে দেখা করাটা ছিল দারুণ ব্যাপার। আমি আগে তাকে শুধু টেলিভিশনে দেখেছি, কিন্তু আজকে আমি প্রথমবারের মতো তার এবং তার দলের খেলোয়ারদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পেয়েছি।”
শিশুদের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তানের বোলার নাভিন-উল-হক বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হও, ক্রিকেট খেলো। তুমি ছেলে না মেয়ে সেটি কোন বিষয় নয়।”
১৮ ই অক্টোবর ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তারকা উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ৫০ জন শিশুর সঙ্গে ক্রিকেট খেলে। পাকিস্তান দলে আরও ছিলেন ইফতিখার আহমেদ, হাসান আলী, উসামা মীর, হারিস রউফ ও আগা সালমান
গত ১৯ শে অক্টোবর শিশুদের জন্য ছিল একটি রোমাঞ্চকর দিন। সেদিন তারা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে বেঙ্গালুরুতে আসা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলটিতে আরও ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, মারনাস ল্যাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ট্র্যাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস স্টয়নিস, জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও দলের সাপোর্ট স্টাফরা । শিশুরা তাদের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলে, ঠাট্টা করে, হাসাহাসি করে এবং ক্রিকেটের পাশাপাশি দল গঠন ও নেতৃত্বের মতো জীবনের পাঠ শেখে। তারা ক্রিকেটারদের বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, ক্রিকেটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের উত্তর দিয়েছে, এবং তাদের কাছ থেকে টি-শার্ট এবং ক্যাপে অটোগ্রাফ পেয়েছে; এমনকি ইউনিসেফ অস্ট্রেলিয়ার দূত প্যাট কামিন্সের সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থেকে বাঁচতে ও সফল হতে কী লাগে সে সম্পর্কে একটি ‘পেপ টক’-এও অংশ নেয়।
ইউনিসেফের ‘নিজে করার মাধ্যমে শেখা’ কর্মসূচি কীভাবে কমিউনিটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা দেখতে প্যাট কামিন্স ভারতের লখনউতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনও করেন। কর্মসূচিটি শিশুদের সোলার কুকার তৈরি করা বা প্লাস্টিকের আবর্জনা খেলনায় পরিণত করার মতো দক্ষতা শেখানোর মাধ্যমে স্কুলে থাকতে উৎসাহিত করে ।
গত ২৭শে অক্টোবর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তাদের অধিনায়ক সাকিব-আল হাসানের নেতৃত্বে কীভাবে বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং করতে হয় সে সম্পর্কে শিশুদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়।
সংক্ষিপ্ত অনুশীলন সেশনের পরে স্নেহা মণ্ডল বলে, “ছেলেদের সঙ্গে খেলতে পেরে ভালো লেগেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পেরে আমাকে ছেলেদের সমান মনে হয়েছে।”
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু শুভম রাজওয়ার দোভাষীর সাহায্য নিয়ে জানায়, ম্যাচ চলাকালে একটি দলে কীভাবে খেলতে হয় তা শিখতে এই অনুশীলনটি উপকারী ছিল। সে বলে, “আমি আমার দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ও সিদ্ধান্ত নেবার কৌশল শিখেছি।”
গত ২৮শে অক্টোবর পুনের বিভিন্ন স্কুলের ৫০ জন শিশু পুনের গাহুঞ্জে এমসিএ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলে। আয়োজন শেষে উচ্ছ্বসিত স্বরাঞ্জলি ধাভাদে বলে, এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা। “আমি আজকের আয়োজনটি খুব উপভোগ করেছি। এবারই প্রথমবারের মতো আমি শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে ও খেলতে পেরেছি। আমি এর আগ পর্যন্ত তাদের শুধুমাত্র টেলিভিশনেই দেখেছি। তারা আমাদের প্রতিদিন খেলাধুলা ও অনুশীলন করতে উৎসাহ দেয়,” বলে সে।
গত ৩১ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট দল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাইয়ের ভারত স্কাউটস ও গাইডের প্রায় ৫০ জন শিশুর সঙ্গে দেখা করেন।
1 এর 5

প্রবন্ধ
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে শিশুদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের একসাথে কাজ করবে
বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা এবং জাতিসংঘের ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সযোগিতা প্রদানে আরও জোরদার ভূমিকা পালন করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (আইসিসি-বি) ও ইউনিসেফ এক নতুন অংশীদারিত্ব শুরু করেছে।
আইসিসি-বি প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান ও বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বাংলাদেশে জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগের সময়সহ সর্বদা শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে (MoU) স্বাক্ষর করেন।
আইসিসি-বি প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে শিশুদের সার্বিক কল্যাণের জন্য বেসরকারি খাতের সঙ্গে একসাথে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়ায় ইউনিসেফকে ধন্যবাদ। বৈশ্বিক লক্ষমাত্রাগুলোকে বাংলাদেশে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ইউনিসেফের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে পেরে আমরা গর্বিত। ২০২৩ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শিশুরা যেন ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে তার জন্য এখন থেকেই বিনিয়োগ করতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে।”
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বাংলাদেশের শিশুরা একসঙ্গে একাধিক সংকটে ভুগছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন বা প্রায় ২ কোটি শিশু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাবজনিত ক্ষতির শিকার। শিশুদের সঠিক ও সম্পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেরই বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এসে শিশুদের জন্য বিনিয়োগের ব্যবস্থা করলে প্রতিটি শিশুর জীবনকে আরও উন্নত করা সম্ভব, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি করা সম্ভব এবং বাংলাদেশের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। শিশুরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় সেগুলো মোকাবিলায়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে ঘিরে সহযোগিতা জোরদারে এবং বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সাহায্য করতে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব সহায়ক হবে।”
ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও আইসিসি-বি - এই সংস্থা দুটিরই রয়েছে শক্তিশালী বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক; টেকসই উন্নয়নকে ঘিরে তাদের লক্ষ্যও অভিন্ন - শিশুরা যেসকল সঙ্কটের সম্মুখীন হয় সেগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা। বাংলাদেশে শিশুদের মৃত্যুহার কমানোর জন্য এবং তাদের পূর্ণরূপে বিকশিত ও ভবিষ্যতে সফল হবার ক্ষেত্রে যেসকল বাধা রয়েছে তা মোকাবিলার জন্য উভয় সংস্থাই যৌথভাবে কাজ করবে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে আইসিসি’র চেয়ার মারিয়া ফার্নান্দা গারজা ও ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ক্যাথরিন রাসেল যেকোন সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষায় এবং টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা ঘিরে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। সেই সমঝোতা স্মারকের পথ ধরেই বাংলাদেশে আজ নতুন এক অংশীদারিত্বের সুচনা হল।
1 এর 5

প্রবন্ধ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপে প্রথবারের মতো ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল (Disability Module) অন্তর্ভুক্তিজনিত তথ্যের সংযোজন
২০২১ সালে, বিবিএস ‘অর্গানাইজেশন অফ পারসন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ (ওপিডি) এর পরামর্শে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় বিশ্ব-স্বীকৃত "ওয়াশিংটন গ্রুপ প্রশ্নপত্র" এর উপর ভিত্তি করে একটি ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল গ্রহণ এবং অন্তর্ভুক্ত করে যার উদ্দেশ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উপাত্তকে জাতীয় শ্রমশক্তি জরিপের অংশ করা
আইএলও বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, “বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যে ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তি করা দেশের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তির প্রকৃত চিত্র অনুধাবন এবং গৃহীত কর্মসংস্থান নীতি বাস্তবায়নের সময় কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বড় মাইলফলকস্বরূপ।”
পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান এবং নীতিসমূহ গ্রহণ করেছে। তার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তাদের দৈনন্দিন সাধারণ কার্যক্রম সম্পাদনে অসুবিধা পরিমাপের মাধ্যমে শ্রমবাজারে তাদের কার্যকারিতা নির্ধারণ করা হয়।
এই পদক্ষেপটি দেশের শ্রমশক্তির অন্তর্গত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা, তাদের কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের হার, তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আছে কিনা এবং সরকারের পক্ষ থেকে তারা কোন সামাজিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করছেন কিনা সে সম্পর্কে লিঙ্গ-বিভাজিত ধারণা পেতে সাহায্য করেছে।
“এই জরিপ দেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে শ্রমবাজারে হওয়া উন্নতিকে প্রতিফলিত করবে। প্রকৃতপক্ষে, শ্রমবাজারের উন্নয়ন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সমার্থক”, বলেছেন জনাব এমএমান্নান, মাননীয় মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ যুব কর্মসংস্থান, শ্রমবাজারে নারীদের অন্তর্ভুক্তি, অভিবাসী শ্রম এবং সম্প্রতি গৃহীত, ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তিসহ কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের সাথে জড়িত নানা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য প্রদান করে যা আন্তর্জাতিক শ্রম ধারণা, সংজ্ঞা এবং তত্তসমূহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জরিপে দেশের ৬৪টি জেলায় অবস্থিত ৩০,৮১৬টি পরিবার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
২০২১ সালে, বিবিএস ‘অর্গানাইজেশন অফ পারসন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ (ওপিডি) এর পরামর্শে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় বিশ্ব-স্বীকৃত "ওয়াশিংটন গ্রুপ প্রশ্নপত্র" এর উপর ভিত্তি করে একটি ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল গ্রহণ এবং অন্তর্ভুক্ত করে যার উদ্দেশ্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উপাত্তকে জাতীয় শ্রমশক্তি জরিপের অংশ করা
আইএলও বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, “বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যে ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তি করা দেশের শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তির প্রকৃত চিত্র অনুধাবন এবং গৃহীত কর্মসংস্থান নীতি বাস্তবায়নের সময় কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বড় মাইলফলকস্বরূপ।”
পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান এবং নীতিসমূহ গ্রহণ করেছে। তার ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তাদের দৈনন্দিন সাধারণ কার্যক্রম সম্পাদনে অসুবিধা পরিমাপের মাধ্যমে শ্রমবাজারে তাদের কার্যকারিতা নির্ধারণ করা হয়।
এই পদক্ষেপটি দেশের শ্রমশক্তির অন্তর্গত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা, তাদের কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের হার, তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি আছে কিনা এবং সরকারের পক্ষ থেকে তারা কোন সামাজিক সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করছেন কিনা সে সম্পর্কে লিঙ্গ-বিভাজিত ধারণা পেতে সাহায্য করেছে।
“এই জরিপ দেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে শ্রমবাজারে হওয়া উন্নতিকে প্রতিফলিত করবে। প্রকৃতপক্ষে, শ্রমবাজারের উন্নয়ন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সমার্থক”, বলেছেন জনাব এমএমান্নান, মাননীয় মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ যুব কর্মসংস্থান, শ্রমবাজারে নারীদের অন্তর্ভুক্তি, অভিবাসী শ্রম এবং সম্প্রতি গৃহীত, ডিজঅ্যাবিলিটি মডিউল অন্তর্ভুক্তিসহ কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের সাথে জড়িত নানা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য প্রদান করে যা আন্তর্জাতিক শ্রম ধারণা, সংজ্ঞা এবং তত্তসমূহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জরিপে দেশের ৬৪টি জেলায় অবস্থিত ৩০,৮১৬টি পরিবার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
1 এর 5

প্রবন্ধ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
ইউএনওডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মশালার মাধ্যমে কক্সবাজারে মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলায় প্রচেষ্টা জোরদারকরণ
গ্লোবাল অ্যাকশন এগেইনস্ট ট্র্যাফিকিং ইন পার্সন্স অ্যান্ড দ্য স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্টস-বাংলাদেশ (গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ) এর কাঠামোর আওতায় ইউএনওডিসি মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মশালার আয়োজন করেছে। ২০২৩ সালের ৩০ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় আইনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বাংলাদেশে মানব পাচার তদন্তের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
মানব পাচারের মামলাগুলি সক্রিয়ভাবে সনাক্ত এবং তদন্ত করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালানের জটিলতা সম্পর্কিত কর্মশালার আয়োজন করে আসছে। এসকল কর্মশালার মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান অপরাধসমূহ ঘিরে যে জটিলতা রয়েছে সে সম্পর্কে তাদের স্বচ্ছ ধারণা দেয়া হয়।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মানব পাচার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনসমূহ, কাঠামো এবং তদন্ত কৌশল সম্পর্কে অবহিত করা হয়। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে মানব পাচারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা এবং উন্নত তদন্ত কৌশলসম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। এই কর্মশালাটি জ্ঞান-ভাগাভাগি এবং সমন্বয়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবেও কাজ করেছিল, যার ফলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা মানব পাচার তদন্ত পরিচালনা সম্পর্কে প্রাণবন্ত আলোচনায় জড়িত হতে সক্ষম হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মানব পাচার মামলার তদন্ত পদ্ধতি সম্পর্কে রেফারেন্স বুকলেটের উপর তাদের মতামত প্রদান করেন যাতে এটি বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে তদন্তের প্রয়োজনীয়তার সাথে প্রাসঙ্গিক হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত এসএসপি আফজাল হোসেন তার সেশনে হেডকোয়ার্টার্স পর্যায়ে বিদ্যমান প্রক্রিয়াগুলো তুলে ধরেন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সিআইডির মানব পাচার সেল এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থার সাথে কীভাবে সমন্বয় করতে পারেন তা তুলে ধরেন। তিনি চলমান কয়েকটি মামলার কথা বলেন, যার মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত মামলার তদন্ত এবং এটি গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ কাঠামোর অধীনে গৃহীত একটি উদ্যোগ যা কিনা মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের অন্যতম ফলাফল।
গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ আয়োজিত তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে এটি কক্সবাজারে দ্বিতীয় কর্মশালা। এ কর্মশালায় জেলা পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ২০ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ইউএনওডিসি গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও জানতে, ভিজিট করুন -
https://www.unodc.org/unodc/en/human-trafficking/glo-act3/index.html
1 এর 5
প্রবন্ধ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মূল্যায়নের উপর উদ্বোধনী কর্মশালা আয়োজন করে ইউএনওডিসি
বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ এবং অনুপ্রবেশযোগ্য সীমানা পাচারের শিকার ভুক্তভোগী এবং চোরাচালানকৃত অভিবাসীদের আন্তঃসীমান্ত স্থানান্তরের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ২০২২ সালের ইউএনওডিসি গ্লোবাল রিপোর্ট অন ট্রাফিকিং ইন পার্সনস অনুযায়ী সকল লিঙ্গ ও বয়সের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা, আন্তঃসীমান্ত পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তঃসীমান্ত মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালানের রোধ করার জন্য এই বিষয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ দরকার। পাশাপাশি এই সকল কাজ সরকারের আইন ও নীতিমালা অনুসারী হতে হবে।
মানব পাচার প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানব পাচারের উপর বাংলাদেশের প্রথম প্রতিবেদন পাচারের ঝুঁকি শনাক্তকরণের সুপারিশ করে, যার মধ্যে অন্যতম ঝুঁকি হল আন্তঃসীমান্ত পাচার। এই প্রেক্ষাপটের আলোকে, ইউএনওডিসি গ্লোবাল অ্যাকশন এগেইন্সট ট্রাফিকিং ইন পার্সন্স অ্যান্ড দ্য স্মাগলিং অফ মাইগ্রেন্টস - বাংলাদেশ (গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ) প্রকল্পের অধীনে ১৮ অক্টোবার ২০২৩ এ মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলার জন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনার মূল্যায়নের ক্ষেত্র নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব এবং গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশের উপ-প্রকল্প পরিচালক মিস ঈশিতা রনি। তিনি মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেন। তিনি আরও মন্তব্য করেন, "একটি শক্তিশালী সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কৌশল সম্ভাব্য শিকার এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে আটকানোর মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধে ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্স হিসাবে কাজ করে।"
এ ছাড়াও মাহদী হাসান, ইউএনওডিসির ন্যাশনাল প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর, এবং ফাতিমা নুসরাথ গাজ্জালি, আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ, তাদের সংস্থার পক্ষ হতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলার জন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে কর্মশালার ফোকাস ছিল দলগত আলোচনা। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে চারটি মিশ্র দল তৈরি করা হয়।
দলগুলো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন যার মধ্যে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইন কাঠামো, স্টেকহোল্ডার বিশ্লেষণ, সমুদ্রপথে মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান, এবং সক্ষমতা-বৃদ্ধির চাহিদা অন্তর্ভুক্ত। দলগত আলোচনার পর প্রতিটি দল তাদের আলোচনার উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনা চলাকালীন, অংশগ্রহণকারীরা সরবরাহিত প্রশ্নাবলীর সাহায্যে তাদের ইনপুটগুলো সুগঠিতভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। মিস রনি সকল অংশগ্রহণকারীদের তাদের বিস্তারিত ইনপুট এবং পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালাটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে, কর্মশালা থেকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলার জন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উপর মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির উদ্যোগ নিবে ইউএনওডিসি।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ, সীমান্ত সম্পর্কিত সংস্থা এবং জাতিসংঘের সংস্থা থেকে ৩৯ জন অংশগ্রহণকারী (১০ জন মহিলা, ২৯ জন পুরুষ) কর্মশালায় যোগ দেন।
ইউএনওডিসি গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও জানতে, ভিজিট করুন -
https://www.unodc.org/unodc/en/human-trafficking/glo-act3/index.html
1 এর 5
প্রবন্ধ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
মানব পাচারের বিস্তৃত ডাটা কালেকশন সিস্টেম নিয়ে কন্সাল্টেশনের মাধ্যমে গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টা জোরদার
বাংলাদেশে মানব পাচার সম্পর্কিত ফার্স্ট ন্যাশনাল স্টাডিতে বিদ্যমান রিপোর্টিং কাঠামোকে কাজে লাগিয়ে দেশে মানব পাচার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ উন্নত করার সুযোগ সনাক্ত করা হয়েছে। জাতীয় রিপোর্টিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার নীতিগত সুপারিশের উপর ভিত্তি করেগ্লোবাল অ্যাকশন এগেইনস্ট ট্র্যাফিকিং ইন পার্সন্স অ্যান্ড দ্য স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্টস-বাংলাদেশ (গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ) এর কাঠামোর আওতায় ইউএনওডিসি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সহযোগিতায় ৮ জুন ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশে মানব পাচার সম্পর্কিত বার্ষিক রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহের উপর একটি জাতীয় কন্সাল্টেশন কর্মশালার আয়োজন করে।
পরামর্শের উদ্দেশ্য ছিল একটি ওয়েব-ভিত্তিক ডাটা সংগ্রহের ব্যবস্থা বিকাশের জন্য প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া যা মানব পাচার সম্পর্কিত একটি বিশ্লেষণমূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদন বিকাশে সহায়তা করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক মো. খায়রুল আলম শেখ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ও গ্লো অ্যাক্ট-বাংলাদেশ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ঈশিতা রনি এতে যথাক্রমে প্রধান অতিথি ও চেয়ারপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনওডিসি'র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি মার্কো টেজেইরা মানব পাচারের উপর একটি বিস্তৃত রিপোর্টিং মেকানিজম গড়ে তোলার প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট ইউএনওডিসি গবেষণা পত্র, পলিসি ব্রিফ এবং ২০২২ সালের ইউএনওডিসির গ্লোবাল রিপোর্ট অন ট্রাফিকিং ইন পার্সন্স (গ্লোটিপ রিপোর্ট) এর সর্বাধিক ব্যবহারের জন্য সকল অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মূল সেশনগুলোতে গ্লোটিপ রিপোর্ট এবং বাংলাদেশে প্রথম ন্যাশনাল স্টাডি অন ট্র্যাফিকিং ইন পার্সন্স এর ফলাফল, মানব পাচার সম্পর্কিত প্রস্তাবিত জাতীয় ডাটাবেস এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি খসড়া টেমপ্লেট শেয়ার করা হয়। পরবর্তীতে, অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তাবিত জাতীয় ডাটাবেসের জন্য নীতি নির্দেশিকা, বিষয়বস্তু, ডাটার উৎস এবং প্রয়োজনীয়তা, এবং সরঞ্জামগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে নিবেদিত গ্রুপ আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ করে। গ্রুপের উপস্থাপনা থেকে নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি উদ্ভূত হয়েছে:
বার্ষিক রাষ্ট্রীয় প্রতিবেদনে বছরের পর বছর তুলনামূলক বিশ্লেষণ সহ মানব পাচারের অগ্রগতির জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি বৈশ্বিক ডাটার সাথেও সংযুক্ত করা যেতে পারে, যা মানব পাচারের প্রবণতা সনাক্ত করতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে নীতিনির্ধারকদের অবহিত করতে সহায়ক হবে৷
তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া সমন্বয়ের ক্ষেত্রে জননিরাপত্তা বিভাগের সহায়তায় মানব পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষকে ডাটাবেসের রক্ষক হিসাবে কাজ করার সুপারিশ করা হয়।
পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে সহায়তা প্রদান এবং ডাটা সংরক্ষণ, ডাটা প্রচার এবং ডাটা যাচাইকরণের পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য একটি ডাটা সংগ্রহ কমিটি স্থাপন করা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট ফিল্ড অফিসে ডাটা এন্ট্রি অফিসার নিয়োগের সম্ভাবনা মূল্যায়ন এবং তথ্য সংগ্রহ কমিটি বা মানব পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি পুলিশ ফোকাল পয়েন্ট অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা জরুরী। এর ফলে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ সহজতর হবে।
অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন এবং শেখার প্যারামিটারগুলি অন্তর্ভুক্ত করে সরঞ্জামগুলি উন্নত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি হস্তক্ষেপের প্রভাবগুলির বিশ্লেষণ সক্ষম করবে এবং উপযুক্ত উপকরণগুলির বিকাশে সহায়তা করবে। উপরন্তু, ডেটা সংগ্রহ সরঞ্জামগুলিতে রিপোর্টিং অফিসারদের জন্য ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
সমাপনী বক্তব্যে চেয়ারপার্সন ঈশিতা রনি তাদের সার্বিক সুপারিশের জন্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে, পরামর্শের ফলাফলগুলি অন্তর্ভুক্ত করে একটি কৌশলপত্র তৈরি করা হবে। এই কৌশলপত্রটি মানব পাচার ডাটাবেসের বিকাশে পরবর্তী পদক্ষেপের ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে।
কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা, জাতিসংঘের সংস্থা ও সিএসও থেকে ৩২ জন অংশগ্রহণকারী (৫ জন নারী, ২৭ জন পুরুষ) অংশগ্রহণ করেন।
ইউএনওডিসি গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও জানতে, ভিজিট করুন -
https://www.unodc.org/unodc/en/human-trafficking/glo-act3/index.html
1 এর 5
প্রবন্ধ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
সমুদ্রপথে অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধে ইউএনওডিসির দুই সপ্তাহব্যাপী ইন্টারেক্টিভ প্রশিক্ষণ
সমুদ্রপথে অভিবাসীদের চোরাচালান একটি ব্যতিক্রমী এবং বিপজ্জনক অপরাধ, যেখানে জীবনের ঝুঁকির দায়ভার বহন করে অভিবাসীরা অথচ এই অবস্থা থেকে আর্থিক লাভ করে চোরাচালানকারীরা । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, নিয়মিত অভিবাসনের সীমিত সুযোগ সহ অনেকগুলো কারণের সংমিশ্রণে, অপরাধী গোষ্ঠীগুলো শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পেরেছে। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের প্রতিবেশী দেশগুলোসহ অন্যান্য দূরের দেশেও চোরাচালান করতে সক্ষম হয়েছে। বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর পেরিয়ে সমুদ্রপথে অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুদের পাচারের ক্রমবর্ধমান রিপোর্টগুলো ইঙ্গিত দেয় যে একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নেয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের চোরাচালান মোকাবেলায় সহায়তার অংশ হিসাবে, ইউএনওডিসির রিজোনাল অফিস ফর সাউথ এশিয়া (ইউএনওডিসি রোসা) এর গ্লোবাল অ্যাকশন এগেইন্সট ট্রাফিকিং ইন পার্সন্স অ্যান্ড দ্য স্মাগলিং অফ মাইগ্রেন্টস-বাংলাদেশ (গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ) প্রকল্প এবং রিজোনাল অফিস ফর দ্যা সাউথইস্ট এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক (রোসিআপ) যৌথভাবে "সাগরপথে অভিবাসী চোরাচালানের বিরুদ্ধে কার্যক্রম" শীর্ষক দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ কোর্সে আয়োজন করেছে। কর্মশালাটি ২৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কোর্সটি ১২টি মডিউল নিয়ে গঠিত এবং মডিউলগুলো একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কিত। মডিউলগুলো অভিবাসী চোরাচালান এবং সামুদ্রিক আইনের সাথে প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন কাঠামো; অভিবাসী চোরাচালান রোধে মানবাধিকার-ভিত্তিক ও লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল পদ্ধতি; তথ্য বা ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ; সমুদ্র অভিবাসী চোরাচালানের মামলা তদন্ত কৌশল; অভিবাসী চোরাচালান প্রোটোকলের অধীন ইন্টারসেপ্সনের ক্ষেত্র; সমুদ্রে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার; স্ক্রীনিং, সুরক্ষা এবং সহায়তা; অপরাধ স্থান এবং বস্তুগত বা ফিজিকাল প্রমাণ পরীক্ষা; সাক্ষাৎকার; আর্থিক তদন্ত; প্রসিকিউশন, ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
কর্মশালায় ঈশিতা রনি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব এবং গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশের উপ-প্রকল্প পরিচালক, অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি জানান যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিবাসী চোরাচালান সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা পরিবর্তন দেখতে পান। তিনি সমুদ্রপথে অভিবাসী চোরাচালানের পিছনে অপরাধমূলক নেটওয়ার্কগুলোকে কার্যকরভাবে ব্যাহত, তদন্ত ও বিচার করতে, এবং চোরাচালানকৃত অভিবাসীদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আন্তঃসংস্থা সমন্বয় ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের জন্য এই বিষয়ে বিস্তারিত কর্মশালা ছিল প্রথম। কর্মশালাটি বঙ্গোপসাগরে অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও ভাল উদাহরণগুলোকে যৌথভাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি চোরাচালানকৃত অভিবাসীদের সুরক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়। সমুদ্রে অভিবাসী চোরাচালান রোধে আন্তর্জাতিক আইনের আবশ্যকতার উপর সচেতনতা বৃদ্ধিসহ কর্মশালাটি অংশগ্রহণকারীদের অভিবাসীদের অধিকার সমুন্নত রেখে অভিবাসী চোরাচালান তদন্ত পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
প্রশিক্ষণটি বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ থেকে উপকৃত হয়েছে। দুই সপ্তাহ জুড়ে, অংশগ্রহণকারীদের মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ইউএনওডিসি রোসিআপ-এর টেররিজম অর্থায়ন প্রতিরোধ/মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ইউনিট, নিউজিল্যান্ড পুলিশের লিয়াজোঁ অফিসার, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) প্রজেক্ট ম্যানেজার, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সামুদ্রিক আইন ও নীতি বিষয়ক প্রোগ্রামের গবেষক এবং ইউএনএইচসিআর আঞ্চলিক অফিস থেকে প্রটেকশন বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কর্মশালাটি প্রেজেন্টেশন, গ্রুপ অনুশীলন, কেস স্টাডি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভেসেল সার্চ টুলের মাধ্যমে সিমুলেশন এবং অংশগ্রহণকারীদের উপস্থাপনার সাহায্যে কার্যকরভাবে আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, বাংলাদেশ নদী পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে মনোনীত ২০ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
ইউএনওডিসি গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও জানতে, ভিজিট করুন -
https://www.unodc.org/unodc/en/human-trafficking/glo-act3/index.html
1 এর 5

প্রবন্ধ
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
A Family’s Journey from Heartache to Hope
Wearing a dark green hospital gown, Jui stood still and looked through the glass of the Special Care Newborn Unit (SCANU) in Netrokona District Hospital. Her anxious eyes followed every breath of her beloved baby, Rakiba. At only 18 days old, Rakiba was already a warrior fighting for air every second of her life.
Previously, Jui and her husband, Rafique, had already lost two babies due to complications during birth delivery. This time, they fortunately brought their daughter on time to Netrokona District Hospital, where the trained staff at the UNICEF-supported SCANU had the medical equipment to treat their daughter with quality care.
Lack of oxygen equipment
For months prior to Rakiba’s delivery, Jui and Rafique had waited for their baby to arrive in this world. They had traced fingers along the ultrasound images of Rakiba and kept them like treasure. They had dreamed about holding and protecting her with the love that they couldn’t give to their previous children. And yet now, that chance to love was once again slipping away as they watched Rakiba combat premature birth and severe hypoxemia1, a potentially deadly case of low blood oxygen.
“I didn’t have any complications while giving birth to Rakiba at a clinic. She also seemed fine and cried normally like all newborns,” recounted Jui. “But suddenly she started to have breathing problems. The nurses told me to take her to Netrokona hospital urgently.”
Living in rural Bangladesh, Jui had barely known quality, specialized care for mothers and newborns. And with a health condition that required immediate oxygen equipment at all times, her daughter was even less likely to survive.
The leading cause of deaths for children under five
Despite progress in Bangladesh, the mortality rate of children under five remains comparatively high, at 31 deaths per 1000 live births2. Newborn deaths are responsible for over 60 per cent of the deaths under five, with birth asphyxia and injury responsible for 29 per cent as the main cause. Pneumonia has also been the leading cause for under-five deaths for more than three decades, with hypoxemia present in about 13.3 per cent of severe cases.3
In addition, as found in a UNICEF-supported national assessment in 2020, 70 percent of medical facilities lacked adequate oxygen infrastructure and other essential oxygen equipment in the maternal, newborn and pediatric units.
“Previously we couldn’t give oxygen treatment to all newborns because we had limited number of oxygen cylinders,” remembered Dr. Moumita Sharmin, Medical Officer who worked in the UNICEF-supported newborn unit in the Netrokona District Hospital.
The leading cause of deaths for children under five
Despite progress in Bangladesh, the mortality rate of children under five remains comparatively high, at 31 deaths per 1000 live births2. Newborn deaths are responsible for over 60 per cent of the deaths under five, with birth asphyxia and injury responsible for 29 per cent as the main cause. Pneumonia has also been the leading cause for under-five deaths for more than three decades, with hypoxemia present in about 13.3 per cent of severe cases.3
In addition, as found in a UNICEF-supported national assessment in 2020, 70 percent of medical facilities lacked adequate oxygen infrastructure and other essential oxygen equipment in the maternal, newborn and pediatric units.
“Previously we couldn’t give oxygen treatment to all newborns because we had limited number of oxygen cylinders,” remembered Dr. Moumita Sharmin, Medical Officer who worked in the UNICEF-supported newborn unit in the Netrokona District Hospital.
A special care unit for babies
Across public hospitals in the country, UNICEF, along with partners, supported the Government in establishing SCANUs, where nurses and doctors treated low-birthweight and sick newborns like Rakiba. These units were equipped with UNICEF-supported medical equipment, including piped medical oxygen to SCANUs, oxygen concentrators, flowmeters, radiant warmers and resuscitators.
“The UNICEF-supported unit has been a blessing in this hospital,” said Dr. Sharmin. “Now we have oxygen support at every bed and can treat all newborns. We are able to serve such a large population in Netrokona thanks to adequate oxygen supply.”
To her parents’ overwhelming joy, Rakiba slowly got better and was discharged from the hospital. Swaddled in a yellow blanket in her mother’s arms, Rakiba breathed softly. As if afraid she would disappear, her father kept fixing her clothes to make sure she was warm.
"She received oxygen support immediately in the newborn unit,” recounted Jui.
Both parents then attentively listened to the doctor’s advice on how they should take care of Rakiba at home and when they could return for a check-up. Upon reaching home, Rafique picked up more housework to make sure that both his wife and daughter could rest and recuperate.
For all newborns, a healthy start in life
Outside the glass wall of the UNICEF-supported SCANU stood parents who were waiting with hope, longing to get a glimpse of their children. Inside, doctors and nurses were going from one incubator to the next, patiently checking on one baby after another.
Adequate access to oxygen had truly made a difference in the lives of medical staff, parents, and sick babies. Within three years, from the beginning of 2021 to the end of 2023, over 300,000 sick newborns in Bangladesh were admitted to the Special Care Newborn Units, and oxygen support had been sustained in all the health facilities. Health workers have been trained on rational use of oxygen, which is extremely important to avoid complications.
“The newborn mortality rate has dropped. The recovery rate is becoming faster,” said Dr. Moumita Sharmin. “We are able to serve such a large population in Netrokona thanks to adequate oxygen supply.”
----------------------------------------------
1 Hypoxemia is a condition where the oxygen saturation in the blood suddenly drops, posing a life-threatening risk caused by an underlying illness or injury. It is a common and potentially fatal complication of pneumonia and other Acute Respiratory Tract Infections among children under the age of five.
2 DHS 2022, preliminary report. The DHS Program - Bangladesh DHS 2022 - Key Indicators Report (English)
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
মানবাধিকার দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী
৭৫ বছর আগে যখন সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা গৃহীত হয়, তখনো যেমন এই ঘোষণার প্রথম লাইনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আজও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ রয়ে গেছে।
সার্বজনীন ঘোষণা একটি রূপরেখা, যা যুদ্ধ থামাতে, বিভক্তি দূর করতে এবং সবার জন্য শান্তি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
কিন্তু বিশ্ব পথভ্রষ্ট হচ্ছে। সংঘাত বাড়ছে। বাড়ছে দারিদ্র্য আর ক্ষুধা। অসমতা আরও গভীর হচ্ছে। জলবায়ু সংকট মানবাধিকার সংকটে পরিণত হয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সবচেয়ে ভয়াবহভাবে আঘাত হানছে।
কর্তৃত্ববাদের উত্থান ঘটছে।
নাগরিক সমাজের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে এবং সংবাদমাধ্যম সবদিক থেকে আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
লিঙ্গসমতা এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। নারীর প্রজনন অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
আজ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক- সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষা যেকোনো সময়ের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব মানবাধিকারই আমাদের সুরক্ষা দেয়।
সার্বজনীন ঘোষণা সেই মূল্যবোধ ও পদক্ষেপের পথ দেখায়, যা উত্তেজনা নিরসন এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আমরা যেহেতু একুশ শতকের উপযোগী বৈশ্বিক পরিকাঠামো হালনাগাদ এবং সেগুলোকে আরও কার্যকর করার চেষ্টা করছি, সে ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে অবশ্যই অনন্য ও মূল ভূমিকায় থাকতে হবে।
আমি সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকীকে এবং আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ‘ভবিষ্যতের জন্য সম্মেলন’-কে সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন বেগবান করতে সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এবং আজ এই মানবাধিকার দিবসে আমি বিশ্বের সব মানুষের প্রতি সব জায়গা প্রতিটা দিন সবার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং এই বিষয়টির প্রচার চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
সংকট থেকে উত্তরণ: ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন বাংলাদেশে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় সেবাগুলোর ওপর আলোকপাত করেছে
ঢাকা, বাংলাদেশ – ডিসেম্বর ৭, ২০২৩ – জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী প্রচারনার অংশ হিসেবে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেন আজ যৌথভাবে একটি মেটা-বিশ্লেষণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্লেষণটিতে, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বাংলাদেশের নারী, মেয়ে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা কীভাবে মোকাবিলা করছে - তা তুলে ধরা হয়।
নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় "ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও সহায়তা: জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য সেবা" শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের অপরিহার্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য, পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং সামাজিক পরিষেবার সাথে ও ভুক্তভোগীদের সঠিক যোগসূত্র স্থাপনের জন্য প্রতিবেদনে জোর দেয়া হয়।
বিশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো – ভুক্তভোগী-কেন্দ্রিক এবং ট্রমা-অবহিত সেবা নিশ্চিত করা। এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে নারী ও শিশু, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা সহজে ও বিনা সঙ্কোচে সহায়তা চাইতে পারবে; আর এভাবে শিশুবিয়ে, পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) ক্ষতিকর প্রথাগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহাম বলেন, "এখনই সময় জিবিভির শিকার ব্যক্তিরা, যেসব বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় সেগুলো মোকাবিলায় একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়া ব্যাবস্থা গ্রহণ করার।" তিনি আরও বলেন, "নারী ও শিশুরা ভালোভাবে বেঁচে থাকার ও পূর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সেবাগুলো যাতে সময়মত পায় তা নিশ্চিত করতে আসুন আমরা আমাদের প্রতিরোধ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করে তুলি।"
ইউএন উইমেনের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ৯৩% নারী জানিয়েছেন যে তারা নিজেরা নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতার (ভিএডব্লিউজি) শিকার হয়েছেন অথবা অন্য এমন নারীকে তারা চেনেন যিনি এর শিকার হয়েছেন।1 এছাড়াও, বিশ্বে যেসব দেশে শিশুবিয়ের হার সর্বোচ্চ, বাংলাদেশ এখনও সেই দেশগুলোর কাতারে রয়েছে, যেখানে ২২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের অর্ধেকের বেশির বিয়ে হয়েছে যখন তারা শিশু ছিলেন।2
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসাকি ওয়াতাবে বলেন, "সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েদের জন্য অপরিহার্য সেবা প্যাকেজ (ইএসপি) হলো জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য, সামাজিক সেবা, বিচার ও পুলিশ– এই চার গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে জাতীয় ব্যবস্থাকে সমর্থন করা জাতিসংঘের একটি বৈশ্বিক নির্দেশিকা। ইউএনএফপিএর পক্ষ থেকে এবং ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের সঙ্গে মিলে একত্রে, আমি বাংলাদেশে ইএসপি পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত ঘাটতিগুলো পূরণ করতে সরকারের প্রচেষ্টোয় সহায়তা প্রদানে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। এই সবকিছু অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ও সুশীল সমাজের সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
ইউএন উইমেন প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর শ্রাবনা দত্ত বলেন, "নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ জোরদার করতে সামগ্রিক ও সমন্বিত উপায়ে কাজ করা এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য। সহিংসতা প্রতিরোধ প্রচেষ্টায় আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ইউএন উইমেন সরকার, সুশীল সমাজের অংশীদার এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।”
প্রতিবেদনে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো:
আইনগত কাঠামোতে অসামাঞ্জতা : বিচার সেবা মূল্যায়ন করতে গিয়ে লিগ্যাল ফ্রেইমওয়ার্ক বা আইনগত কাঠামোতে অসামাঞ্জস্য দেখা গেছে যেমন ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অধীনে ধর্ষণের সংজ্ঞা থেকে শিশুবিয়ে ও বৈবাহিক ধর্ষণকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশি ও বিচার সেবার চ্যালেঞ্জসমূহ: মূল্যায়নটি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগী-কেন্দ্রিক এবং ট্রমা উপর বিশেষ জ্ঞান সম্বলিত পদ্ধতি অবলম্বনের আহ্বান জানায়।
স্বাস্থ্য সেবাসমূহের সমন্বয়: চিকিৎসা ও বিচার সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়ার মাধ্যমে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ: প্রতিবেদনে সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে এবং এমন একটি দল গঠনের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যারা কমিউনিটির সবার কাছে পৌঁছানো, সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের মনো-সামাজিক সমর্থন প্রদানে সক্ষম।
প্রতিবেদনে সরকার, সুশীল সমাজ, নারী অধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর জন্য করা সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সক্ষমতা বাড়ানো, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি)-সংক্রান্ত অপরিহার্য সেবা সম্পর্কিত তথ্য সহজলোভ্য করা, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করা।
প্রস্তাবিত সুপারিশমালার মাধ্যমে দেশে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার মানুষগুলো যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা মোকাবিলা করার জন্য একটি বিস্তৃত ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্বলিত এক নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
ইউএনএফপিএ মিডিয়া যোগাযোগ
আসমা আক্তার, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ, টেলি: +880 171 167 3555, asma@unfpa.org
ইউনিসেফ মিডিয়া যোগাযোগ:
ফারিয়া সেলিম, ইউনিসেফ বাংলাদেশ টেলি: +880 181 758 6096, fselim@unicef.org
ফারজানা সুলতানা, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, টেলি: +880 191 151 9507, fasultana@unicef.org
ইউএন উইমেন মিডিয়া যোগাযোগ
শারারাত ইসলাম, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ, টেলি: +880 171 173 9852, shararat.islam@unwomen.org
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
২২ নভেম্বর ২০২৩
নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর বাণী
নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে বড় বাধা।
এই সমস্যা ব্যাপক, এবং দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড – নারীর প্রতি সহিংসতা নানাভাবে ঘটছে।
কিন্তু, এই সমস্যার মূলে রয়েছে কাঠামোগত অবিচারে, যা গড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে।
আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি, যা নারীদের মর্যাদা ও অধিকার প্রত্যাখ্যান করে তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।
আমাদের সবাইকেই মূল্য দিতে হচ্ছে: আমাদের সমাজে শান্তি নেই, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়, আমাদের বিশ্বটা তুলনামূলক কম ন্যায়সঙ্গত।
কিন্তু নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ’ আমাদের সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে নারীর অধিকার রক্ষাকে আরও সুসংহত করতে উপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করুন।
নারীর প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ ও অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ জোরদার করুন।
বিশ্বের সর্বত্র ভূক্তভোগীর কথা শুনুন এবং দোষীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন।
নারী অধিকারকর্মীদের পক্ষে দাড়ান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটা স্তরে নারী নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলুন।
আসুন, আমরা একসঙ্গে নারীর পক্ষে দাড়াই, তাদের জন্য কথা বলি। আসুন আমরা এমন এক বিশ্ব গড়ে তুলি, যা যেকোনো জায়গায় নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
০৮ নভেম্বর ২০২৩
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা ব্যবস্থার অধীন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা অনুষ্টিত হবে।
সোমবার, ১৩ই নভেম্বর ২০২৩ জেনেভায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের বিশ্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা (Universal Periodic Review/ UPR) ওয়ার্কিং গ্রুপের এক বৈঠকে, চতুর্থ বারের মত বাংলাদেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়াবলীর পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনার বৈঠকটি নিচের লিঙ্কে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
Bangladesh Review - 44th Session of Universal Periodic Review | UN Web TV
ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের ৬-১৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখের আসন্ন বৈঠকে যে ১৪ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচিত হবে বাংলাদেশ সেগুলোর মধ্যে একটি দেশ।
এর আগে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, এপ্রিল ২০১৩ এবং মে ২০১৮ বাংলাদেশের যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের ৪৭ সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত। তবে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের প্রত্যেকেই কোন রাষ্ট্রের এই পর্যালোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
পর্যালোচনাগুলো যে নথিপত্রের ভিত্তিতে হয়ে থাকে, তা হলঃ
জাতীয় প্রতিবেদন - পর্যালোচিত দেশের পেশকৃত প্রতিবেদন;
স্বতন্ত্র মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও গ্রুপ, যা “স্পেশাল প্রসিডিউরস” হিসাবে পরিচিত, বিভিন্ন মানবাধিকার চুক্তি তদারক কমিটি, এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদনে সন্নিবেশিত তথ্য; এবং
জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক সংস্থা ও নাগরিক সমাজের গোষ্ঠীসমূহসহ অন্যান্য অংশীজনের দেওয়া তথ্য।
বাংলাদেশের পর্যালোচনার ভিত্তি হিসাবে কাজ করা প্রতিবেদন তিনটি পাওয়া যাবে এখানে- https://www.ohchr.org/en/hr-bodies/upr/bd-index
স্থান: রুম ২০, প্যালাইস ডেস নেশনস, জেনেভা
সময় ও তারিখ: সকাল ১০ থেকে দুপুর ১.৩০, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ (জেনেভা সময়, জিএমটি +১ ঘণ্টা)
ইউপিআর হচ্ছে জাতিসংঘের মোট ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের যুগ্ম পর্যালোচনা (পিয়ার রিভিউ) । এপ্রিল ২০০৮ প্রথমবারের মত এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের, প্রত্যেকেই এ পর্যন্ত তিনবার পর্যালোচিত হয়েছে।
চতুর্থ ইউপিআর আবর্তনের সময় রাষ্ট্রগুলোর কাছে আবারও প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যে তারা গতবারের পর্যালোচনাকালীন সুপারিশগুলো, যা তারা এর র্পূবে অনুসরণ করার এবং দেশের সাম্প্রতিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিগুলো তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহ ধাপে ধাপে বিশদভাবে উল্লেখ করবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন, বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, আনিসুল হক।
বাংলাদেশকে পর্যালোচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন প্রতিনিধি ((ত্রয়ীকা)) দেশ হচ্ছে কিউবা, পাকিস্তান ও রোমানিয়া।
অধিবেশনের ওয়েবকাস্ট লিংক পাওয়া যাবে এখানেঃ Bangladesh Review - 44th Session of Universal Periodic Review | UN Web TV
বাংলাদেশের পর্যালোচনাকালে বক্তা ও সকল প্রদত্ত বক্তব্যের তালিকা পোস্ট করা হবে, এই লিঙ্কে: https://uprmeetings.ohchr.org/Sessions/44/Bangladesh/Pages/default.aspx
ইউপিআর ওয়ারকিং গ্রুপের বুধবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৩ বিকাল ৩:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০-এর মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে সুপারিশমালা গ্রহণ করবে। পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্র উত্থাপিত সুপারিশগুলো সম্পর্কে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করতে চাইতে পারে ।
আরও তথ্য ও মিডিয়া সংক্রান্ত অনুরোধের জন্য অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুনঃ
প্যাসকেল সিম, এইচআরসি মিডিয়া অফিসার, simp@un.org
ডেভিড দিয়াজ মার্টিন, এইচআরসি পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার, david.diazmartin@un.org
এবং ভেরেনা বনগার্তজ, এইচআরসি পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার, verena.bongartz@un.org.
বিশ্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা সম্পর্কে আরও জানতে দেখুন - www.ohchr.org/en/hr-bodies/upr/upr-main
সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে জাতিসংঘ মানবাধকিার কাউন্সলি অনুসরণ করুন:
Facebook | Twitter | YouTube | Instagram
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
২৬ অক্টোবর ২০২৩
বিশ্ব শহর দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর বাণী
টেকসই উন্নয়নে শহর–নগরগুলো যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তা অনুধাবনের উপযুক্ত সময় হল বিশ্ব শহর দিবস।
অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উদ্ভাবন হলো এজেন্ডা–২০৩০ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের চাবিকাঠি। আর এসব অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের মূল চালিকাশক্তি হলো শহর–নগর। জলবায়ু সংকট থেকে শুরু করে ক্রমবর্ধমান অসমতা ও রাজনৈতিক মেরুকরণসহ আজকের জটিল চ্যালেঞ্জগুলোর অগ্রভাগেও আছে শহর–নগর।
অবকাঠামো, সুলভ আবাসন, কার্যকর পরিবহন ও সামাজিক সেবার চাহিদা দিনে দিনে ব্যাপক হারে বাড়লেও, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এসব চাহিদা মোকাবিলা করতে হচ্ছে সীমিত সম্পদ নিয়েই।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো টেকসই নগর উন্নয়নে অর্থায়ন। এই প্রতিপাদ্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
টেকসই ও সহনশীল শহর গড়তে অর্থায়নের জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজকে অবশ্যই একযোগে কাজ করতে হবে।
আমি বৈশ্বিক পর্যায়ে সুষম আর্থিক সমাধানের পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়ে আসছি। অভিনব ও বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থায়ন সংগ্রহের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে আর্থিক কৌশলকে সুসংহত করতে হবে। সেই কৌশল হতে হবে জলবায়ুবান্ধব, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত।
আমি সম্প্রতি স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকার বিষয়ক পরামর্শক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছি। যেহেতু আমরা আগামী বছর ‘ভবিষ্যতের জন্য সম্মেলন’ আয়োজন করতে চলেছি, কাজেই এই গ্রুপ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে সমন্বয়কে জোরদার করবে এবং নগর ও অঞ্চলের কণ্ঠস্বর যেন বিশ্বমঞ্চে শোনা যায়, তা নিশ্চিত করবে।
বিশ্ব শহর দিবস উদযাপনের এই সময়ে আসুন আমরা নগরাঞ্চলের জন্য একেযাগে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করি।
কারণ, নগরাঞ্চল কেবল অগ্রগতির চালিকাশক্তিই নয়, সবার জন্য স্থিতিশীলতা, পুনরুদ্ধার ও সমৃদ্ধির দিকনির্দেশক।
1 এর 5
সাম্প্রতিক প্রকাশনা
1 / 11
প্রকাশনা
১১ অক্টোবর ২০২৩
1 / 11