প্রেস রিলিজ

নীল আকাশের জন্য নির্মল বায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর বাণী

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

নির্মল বায়ু এখন একটি মানবাধিকার।

স্থিতিশীল জলবায়ু এখন একটি মানবাধিকার।

স্বাস্থ্যকর প্রকৃতি এখন একটি মানবাধিকার।

আজ, বায়ুদূষণের কারণে শত কোটি মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দূষিত বাতাসের কারণে এই গ্রহের ৯৯ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

দরিদ্রদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি।

বিশেষত নারী ও কন্যাশিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত, যারা অপরিচ্ছন্ন জ্বালানি দিয়ে রান্নার কাজ করে।

দরিদ্ররা এমন এলাকায় বসবাস করে, যে এলাকা যানবাহন ও শিল্পকারখানার কারণে দূষিত।

বায়ুদূষণের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটছে।

দাবানল বাতাসকে আরও দূষিত করছে।

মানুষ যখন দূষিত বায়ু ও চরম তাপের সংস্পর্শে আসে, তাদের মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।

জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণ, দুটোই প্রাণঘাতী।

তৃতীয়বারের মত নীল আকাশের জন্য নির্মল বায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবসে আমি সকল দেশগুলোর প্রতি বায়ুদূষণ মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা জানি যে কী করতে হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দ্রুত সরে যেতে হবে।

দ্রুততার সঙ্গে শূন্য নিঃসরণ যানবাহন ও পরিবহনের বিকল্প ব্যবস্থার দিকে এগোতে হবে।

রান্না ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার পরিবর্তে পুনর্ব্যবহার করতে হবে।

এসব পদক্ষেপে প্রতি বছর লাখো মানুষের জীবন বাঁচাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ধীর হবে এবং টেকসই উন্নয়ন তরাণ্বিত হবে।

বায়ুদূষণ কোনো সীমানা মানে না।

কাজেই, দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আসুন বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ করি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুমান নির্দেশিকা অনুসরণে আইন প্রণয়ন করি ।

এবং যানবাহন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, নির্মাণখাত ও শিল্পকারখানা থেকে নিঃসরণ কমাতে নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করি।

আমরা  একত্র হয়ে বায়ুদূষণের হার কমাতে পারি এবং এই গ্রহ আর এখানকার মানুষকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রাখতে পারি।

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ- বিবরণ

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি