সাম্প্রতিক
প্রেস রিলিজ
০১ জুন ২০২৩
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্যসাহায্য হ্রাস: বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আবেদন
আরো জানুন
প্রেস রিলিজ
২৯ মে ২০২৩
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শ্রমজীবীদের দারিদ্র্য-যাপনকে ন্যায্যতা দিতে পারে না
আরো জানুন
বক্তব্য
২৯ মে ২০২৩
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এর বানী
আরো জানুন
সাম্প্রতিক
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে বাংলাদেশ
দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় এবং সব জায়গার সব মানুষ যাতে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে, তা নিশ্চিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট একটি বৈশ্বিক আহ্বান। বাংলাদেশে নিম্নোক্ত অভীষ্টগুলো অর্জনে জাতিসংঘ কাজ করছে:
স্টোরি
২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
একটি ভাষা হারিয়ে গেলে বিশ্ব বঞ্চিত হয় তার ঐতিহ্য থেকে
বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য ভাষা আন্দোলনে যাঁরাযোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়। এরঅংশ হতে পেরে আমরা বিশেষভাবে সম্মানিত বোধ করছি।
১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের যে তরুণেরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের সম্মানে ১৯৯৯ সালেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেসকো) সাধারণ সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে ২১ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিশ্বের প্রতি বাংলাদেশের এ একঅনন্য অবদান। ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আমাদের মূল পরিচয়। বিশ্বব্যাপী সব ভাষার সংরক্ষণ ওসুরক্ষার লক্ষ্যে দিনটি আমরা পালন করি।
বিশ্বের সব ভাষার সুরক্ষা ও ভাষার প্রতি সম্মান প্রদানের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করা আবশ্যক। মাতৃভাষাদিবস উদ্যাপন আমাদের এসব কথাই মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো, প্রায় প্রতি দুই সপ্তাহেপৃথিবী থেকে একটি ভাষা হারিয়ে যায়। যখন একটি ভাষা হারিয়ে যায়, তখন ঐতিহ্য, স্মৃতি ও অভিজ্ঞতারএকটি অংশ থেকে পুরো বিশ্বই বঞ্চিত হয়। অথচ একেকটি ভাষা আমাদের সমাজের সাংস্কৃতিক ও প্রথাগতজ্ঞান বৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
ইউনেসকোর সাম্প্রতিক হিসাবে, বিশ্বের ছয় হাজারের অধিক ভাষার মধ্যে অন্তত ৪৩ শতাংশ ভাষাসংকটাপন্ন। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার কারণে, বিশেষ করে বহু জাতিগোষ্ঠীর ভাষা বিলুপ্তির পথে। পৃথিবীর প্রায় ১০০ ভাষা ডিজিটাল বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাত্র কয়েক শ বহুল ব্যবহৃত ভাষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা হয়। কাজেই ভাষা হারিয়ে যাওয়ার এ ধারা ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জাতিসংঘ সংস্থাগুলো মাতৃভাষা বা প্রধান ভাষার ওপর ভিত্তি করে বহুভাষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থাকেউৎসাহিত করে। বিষয়টি শুধু বিভিন্ন ভাষার টিকে থাকার পথকেই সুগম করে না, বরং শিখন ফলাফলেরক্ষেত্রেও তা বাড়তি সুফল বয়ে আনে। এ লক্ষ্যে গত বছর ২০২২-২০৩২ সময়কে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাসংরক্ষণ কার্যক্রম দশক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই দশকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও মাতৃভাষাপুনর্জাগরণ ও সমুন্নত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জাতিগত পরিচয়, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যসংরক্ষণের মূলে রয়েছে ভাষার সংরক্ষণ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথকে ত্বরান্বিত করে।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ বিকাশ ঘটছে। ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’ ও ‘একুশে বইমেলা’-র মতো আয়োজনবাংলায় লেখা ও পড়াকে উৎসাহিত করে। প্রাথমিক শিক্ষায় বিভিন্ন শ্রেণিতে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠীর পাঁচটি ভাষায় শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত ও পাঠদান শুরু হয়েছে। তারা হলো চাকমা, গারো, মারমা, সাদরি ও ত্রিপুরা। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় পাঠদান করা হবে।
২১ ফেব্রুয়ারির এই দিনে আমরা বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনে শহীদ আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিনআহমেদ, আবুল বারকাত, আবদুল জব্বার ও ওহিউল্লাহকে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়েতাঁদের জীবন উৎসর্গ করার জন্য শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। এই দিনের তাৎপর্য আমাদের বিস্মৃত হওয়া উচিতনয়।
ভাষাগত বৈচিত্র্যের সযত্ন লালন ও সুরক্ষার ওপর জোর দিতে হবে, যাতে ভাষার কারণে কোনো বিরোধ ওবৈষম্যের সৃষ্টি না হয়। বড় ও ছোট, বহুল ও স্বল্পকথিত, বাংলা-জাতিগোষ্ঠী ও বিদেশি—সব ভাষার প্রতিসমান শ্রদ্ধাশীল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আন্তসাংস্কৃতিক আদান-প্রদানেভাষার বৈচিত্র্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
টেকনাফ থেকে পঞ্চগড়—দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদেশি ও দেশীয় ভাষার জাতিসংঘ সংস্থায় কর্মরত সবারপক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। এই দিনেদেশের জনগণ সাহসিকতার সঙ্গে যে সংগ্রাম করেছিলেন, তাঁদের আমরা ভুলিনি, ভুলব না।
শুভ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস!
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এবং ইউনেস্কোর অফিসার ইনচার্জ ডঃ সুসান ভাইজের লেখা অপ-এডটি ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়।
1 এর 4

স্টোরি
২৬ জানুয়ারী ২০২৩
বাংলাদেশ জাতিসংঘ টিমের সম্প্রতি সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় আক্রান্তদের জন্য মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত এলাকাসমূহ পরিদর্শন
বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত একটি গ্রাম আনোয়ারপুর । সবুজ গাছ-গাছালি আর নীল পানির এই নিসর্গে প্রায় ৫০০০ মানুষের বাস । সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি-গোয়াইন - বৃহৎ এই তিনটি নদীর সংলগ্ন ভূমিতে অবস্থিত এই গ্রাম বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও নদী ভাঙ্গনের মতো অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা । ২০২২ সালের গ্রীষ্মে আকস্মিক বন্যা এই অঞ্চলে হানা দেয়ায় নারী ও শিশুরা সর্বাধিক দুর্ভোগের মুখে পড়ে।
আকস্মিক বন্যায় আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি ত্রাণ সহায়তা তহবিল (CERF) আকস্মিক বন্যা দুর্গতদের মানবিক ত্রাণ সহায়তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত জেলাগুলোর ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বৃহৎ পরিসরে ছয় মাস মেয়াদী সর্বমোট পাঁচ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ প্রদান করে। পরিকল্পনায় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে - খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকার ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ও পয়ঃ নিষ্কাশন এবং বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশুদের সুরক্ষা।
গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতিসংঘ দল বিভিন্ন প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে সে সম্বন্ধে অবগত হওয়া এবং বন্যা দুর্গত লোকজনের সাথে কথা বলার জন্য উক্ত দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন জাতিসংঘ সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে উক্ত টিম শান্তিগঞ্জের শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেন। তারা আনোয়ারপুর গ্রামের পুষ্টি, পানি, পয়ঃ নিষ্কাশন এবং হাত ধোয়ার সুবিধাসমূহ পরিদর্শনের পাশাপাশি সুনামগঞ্জের অন্যান্য এলাকাস্থ বিভিন্ন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, নারীদের জন্য বহুমুখী নিরাপদ কেন্দ্রসমূহ এবং বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
"আমরা বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা সম্বন্ধে জানতাম না। এখন আমরা আমাদের ব্যবহারের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখার চেষ্টা করি", আনোয়ারপুর গ্রামের শেফালী আক্তার, ২৪ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা, জাতিসংঘ টিমকে বলেন।
আনজুমান নামে দেড় বছরের একটি শিশু বারো দিন যাবত হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছে। সে গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত। "জন্মের পর থেকেই সে সব সময় অসুস্থ থাকে, তবে আমি জানতাম না তার কি সমস্যা হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও এর সহায়তায় তাকে কয়েকবার ডাক্তার (CERF এর সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে) দেখানো এবং দেহে পুষ্টির অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার দেহে গুরুতর তীব্র অপুষ্টি ধরা পড়ে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আনজুমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা এবং ওষুধপত্র বাবদ তারা আমাদেরকে টাকা দেন", আনজুমানের মা তার অভিজ্ঞতার কথা জানান। আনজুমানের মা ছাড়াও হ্যাপি, খুশনাহার এবং এই গ্রামের অন্যান্য নারীরা বলেন যে, সিইআরএফ এর সহযোগিতার ফলে তারা এখন ভালোভাবে জীবন যাপন করছেন। "পুরো ব্যাপারটা আমাদের কাছে একেবারে নতুন; আমরা এখনো এসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো চর্চা করার চেষ্টা করছি এবং এই ধরনের প্রকল্পগুলো চালু রাখা দরকার", তারা বলেন।
ত্রাণ সহায়তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জাতিসংঘ শিশু তহবিল স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) সহায়তা প্রদান করেছে। এক্ষেত্রে ইউনিসেফ উচ্চ ঝুঁকিগ্রস্ত গর্ভবতী মায়েদের জন্য রেফারেল সহায়তা ও কনসালটেশন সেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রচন্ড জ্বর, তীব্র ডায়রিয়া, বিভিন্ন চর্মরোগ, মূত্রনালীর বিভিন্ন সংক্রমণ ও দেহের বিভিন্ন আঘাতের চিকিৎসায় নানা ধরনের ঔষধ সরবরাহ করেছে। সংস্থাটি সর্বাধিক বন্যাকবলিত জেলাসমূহে অনেক সমাজকর্মী নিয়োজিত করেছে এবং সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং মহিলা অধিদপ্তরের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে বন্যা আক্রান্ত শিশু, নারী ও বালিকাদের সহায়তার জন্য ইউনিসেফ খাদ্য নয় এমন ৪৫৭৫ টি প্রয়োজনীয় জিনিস (পরিবার ও মর্যাদা রক্ষাকারী এবং বিনোদনমূলক বিভিন্ন কিট) বিতরণ করেছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় বসবাসকারী গর্ভবতী নারীদের জন্য সহায়তা ছিল সিইআরএফ কর্তৃক অর্থায়িত কার্যক্রম সমূহের মধ্যে একটি। সিইআরএফ তহবিলের সহায়তায় নিয়োজিত সমাজকর্মীগণ গর্ভবতী নারীদের যত্ন নিচ্ছিলেন। তারা ওই নারীদেরকে প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদান করেন। বন্যা কবলিত এলাকায় যে সকল মিডওয়াইফ গর্ভবতী নারীদের যত্ন নিচ্ছিলেন, তাদেরকে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে। এই মিডওয়াইফদের সহায়তায় গত বছর নভেম্বর মাসে নয়টি শিশুর জন্ম হয়েছে।
সুনামগঞ্জের ভিমখালী ও দিরাই এলাকায় জেন্ডার সমতা ও নারীদের ক্ষমতায়ন বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএন উইমেন চিকিৎসা সেবা ও মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি অল্প বয়সী মেয়েদের মাঝে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
গ্রামীণ হাওর এলাকায় যে সকল ক্ষুদ্র কৃষক আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যে তিনটি গুরুতর দুর্যোগ কবলিত জেলার ঝুকিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, সেগুলো হলো: সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং নেত্রকোনা। সুনামগঞ্জ জেলার ফজিলত বেগম, ৫৬ বছর বয়সী এই মহিলা বন্যায় একটি বাছুর হারান এবং মা গরুটার জন্য খাবার জোগাড়ের চেষ্টায় ছিলেন। "আমার একমাত্র বাছুরটা বন্যায় ডুবে মরেছে, কিন্তু গাভিটা কোনভাবে বেঁচেছে যদিও এটা কষ্ট পাচ্ছিল, কারণ এটা অপুষ্টিতে ভুগছিল", তিনি বলেন। এফএও কর্তৃক জরুরি পশু খাদ্য সরবরাহের ফলে ফজিলতের বাকি গরুটা শক্তি ফিরে পেয়েছে।
বন্যা কবলিত গ্রামবাসীদের সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এর কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। সংস্থাটি গ্রামবাসীদের জন্য খাদ্য, পুষ্টির পরিপূরক খাবার এবং অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
সার্বিক বিচারে, স্থানীয় মানবিক ত্রাণ সহায়তা প্রদানকারী বিভিন্ন অংশীদার ও বাংলাদেশ সরকারের সাথে মিলিতভাবে ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, ডাব্লিউএফপিএ, এফএও, এবং ইউএনওমেন সংস্থাসমূহের মাধ্যমে সিইআরএফ কর্তৃক অর্থায়িত বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে।
1 এর 4

স্টোরি
২৯ নভেম্বর ২০২১
শস্য বৈচিত্র্য কৃষকদের জলবায়ু সহনশীলতা এবং আয় বৃদ্ধি করে
স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রকল্পটি (এসএসিপি) কৃষকদের সক্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক ভাবে বাজারে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও পরিষেবা দিচ্ছে। একইসাথে, শস্য বৈচিত্র্যকরণ, উচ্চ-মূল্যের ফসল উৎপাদন, তাজা ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকদের আয়, এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রকল্পটি ।
জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে উপকূলীয় ১১টি জেলায় বাস্তাবায়িত হচ্ছে এবং কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে এফএও এই প্রকল্পে কাজ করছে।
উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে বাস করেন ৫৮ বছর বয়সী কৃষক মোহাম্মদ আবুল কালাম যিনি এই প্রকল্পে অংশগ্রহন করে উপকৃত হয়েছেন। উপকূলের এই জেলায় ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, মাটির লবণাক্ততা এবং মাটি ক্ষয়ের ভয়াবহতা বেশি। অন্যদিকে ধান এখনও পর্যন্ত সেখানকার কৃষকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফসল। বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, আবার উৎপাদনের ক্ষেত্রেও প্রধান ফসল ধান। কিন্তু, ধান চাষিদের আয় এখনো অনিয়মিত এবং অপর্যাপ্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে ধান উৎপাদন অনেকাংশেই ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে এবং কৃষকদের অবস্থার অবনতি হচ্ছে একইসাথে ফসল উৎপাদনে বৈচিত্র আনতে আগ্রহী কৃষকরা প্রায়ই প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান, তথ্য ও পরিষেবার সুবিধা পান না।
এই বাধা মোকাবেলা করতে এবং সব্জির আরো ভালো চাষাবাদের জন্য এসএসিপি প্রকল্প কালামের মতো ক্ষুদ্র কৃষকদের যথাযথ কৃষি উপকরণ, প্রযুক্তি ও কৌশলগত পরামর্শ প্রদান করে যাতে করে তারা বিনিয়োগের আশানুরূপ ফলাফল পান। বাজার গবেষণায় উচ্চ চাহিদা প্রমাণিত হওয়ায় প্রকল্প কালামকে লাউ, করলা, ফুলকপি এবং টমেটো চাষ করার পরামর্শ দেয়। সেই পরামর্শ অনুসরণ করে এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে, তিনি এই ফসলের সর্বোত্তম বপন এবং কাটার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে পারেন, যার ফলে তার উৎপাদন এবং মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে কৃষিতে সহনশীলতা আনতে অন্যতম একটি কার্যকর উপায় হচ্ছে শস্য বৈচিত্র্য - অর্থাৎ কৃষি উৎপাদনে নতুন ফসল বা পদ্ধতির সংযোজন করা। একইসাথে প্রচলিত প্রধান শস্যের বাইরে নতুন ধরনের শস্য আবাদ করে কৃষকরা তাদের উপার্জন এবং খাদ্য নিরাপত্তাও বাড়াতে পারেন। শস্য বৈচিত্র্যকরণের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধাগুলো হচ্ছে অ-প্রধান খাদ্য শস্য চাষের জন্য অপর্যাপ্ত কৃষি সম্প্রসারণ সহযোগিতা, সীমিত উৎপাদন, এবং কৃষি উপকরণ বাজারের স্বল্পতা।
কালাম একজন উদ্যোগী কৃষক যিনি শষ্য বৈচিত্র ও নতুন কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করে তার জমিতে কাজ করেন। তার অভিজ্ঞতা তিনি অন্য কৃষকদের শোনাতে চান এবং প্রয়োজনে হাতে কলমেই শেখাতে চান। তিনি বিশ্বাস করে নতুন তথ্য ও দক্ষতার এই বিনিময় আর গ্রামের মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
“আমি যে জমিতে কাজ করি তা আমার, এবং গ্রামটি আমার। আমার জমির মতোই অন্য জমিগুলোরও যত্ন হওয়া উচিত যাতে করে সে জমিগুলো বছরব্যাপী বিভিন্ন ফসল দিতে পারে। সমস্ত জমি, এমনকি অনুর্বর কিংবা প্রান্তিক এলাকা, সব জমিরই ভাল যত্ন নেওয়া উচিত। নতুন নতুন তথ্য ও উদ্ভাবনকে ব্যবহার করে আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে পারি এবং আরো ভালো জাতের ফসলের উৎপাদন করে সফল হতে পারি,” তিনি বলেন।
তার কৃষি কাজের সাফল্য দেখে, কালামকে তার উপজেলায় প্রধান কৃষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কালাম এখন চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুতকরন, বপন, সার প্রয়োগ এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা উপজেলার অন্যান্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, “আমার গত বছর একটি ফুলকপি প্রদর্শনী প্লট ছিল, যা থেকে খুব ভাল ফসল এসেছিলো। আমি ৫৫০,০০০ টাকা মূল্যের পণ্য বিক্রি করে উল্লেখযোগ্য লাভ করেছি। এই বছর, আমি প্রকল্পের সহায়তায় একই জমিতে করলা আবাদ করছি।” তিনি আরো বলেন, “আমার উপজেলায় যেসব কৃষক তাদের ফসলের ধারা ও ধরণকে উন্নত করতে চান, সরকারি কৃষি অফিস তাদেরকে অনেক সহযোগিতা করছে। এখন দেখছি আমার গ্রামের প্রায় অর্ধেক কৃষকই সারা বছর বিভিন্ন সবজি চাষ করছে ।”
1 এর 4

স্টোরি
২৩ নভেম্বর ২০২১
জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো (ইউনাইটেড নেশনস সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক - ইউএনএসডিসিএফ ২০২২-২০২৬)
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় ও ইউএন কান্ট্রি টিম (ইউএনসিটি) ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২০২৬ উদ্বোধন করে। কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অভীষ্টগুলো অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার অর্জন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে এ্জেন্ডা-২০৩০, এসডিজি এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ অর্জনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামোতে জাতিসংঘ উন্নয়ন সিস্টেমের সামগ্রিক উদ্যোগ প্রতিফলিত হয়েছে।
এটি বাংলাদেশে জাতিসংঘের উন্নয়ন সিস্টেমের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি সহযোগিতার ধরনে পরিবর্তন এনেছে এবং এ দেশে সংস্থার সব যৌথ ও একক কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। কোভিড-১৯-এর প্রভাব এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উত্তরণের কারণে উন্নয়ন অর্থায়নে সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘ কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্কে বিভিন্ন উপায়ে উন্নয়ন কার্যকারিতার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে।
২০২২-২০২৬ সহযোগিতা কাঠামোতে পাঁচটি আন্তঃসম্পর্কযুক্ত, পারস্পরিকভাবে জোরারোপ করা ও বহুখাতভিত্তিক কৌশলগত অগ্রাধিকার (এসপি) চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে জাতিসংঘ উন্নয়ন সিস্টেম পরিবর্তনমূলক ও টেকসই উন্নয়নকে তরাণ্বিতকরণ প্রক্রিয়ায় বিশেষ সহযোগিতা দেবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে ভূমিকা রাখবে:
কৌশলগত অগ্রাধিকার ১: অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন
কৌশলগত অগ্রাধিকার ২: সমতার ভিত্তিতে মানব উন্নয়ন ও কল্যাণ
কৌশলগত অগ্রাধিকার ৩: টেকসই, সহনশীল ও উপযোগী পরিবেশ
কৌশলগত অগ্রাধিকার ৪: রূপান্তরমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সুশাসন
কৌশলগত অগ্রাধিকার ৫: লিঙ্গ সমতা ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নির্মূল
এসব কৌশলগত অগ্রাধিকারের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক, সমতার ভিত্তিতে, এবং টেকসই মানব, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ উন্নয়নে তথ্যপ্রমাণভিত্তিক উদ্যোগ তরাণ্বিতকরণে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে জাতিসংঘ সহযোগিতা দেবে। এই কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্কের মূলনীতিতে মানবাধিকার, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, সহনশীলতা ও জবাবদিহি, যা জাতিসংঘের সব উন্নয়ন সিস্টেম সহযোগিতা কর্মসূচির পথনির্দেশক মূলনীতি—‘কেউই পেছনে পড়ে থাকবে না’ নিশ্চিত করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তফা কামাল এবং মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
ফাতিমা ইয়াসমিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেমওয়ার্ক, যা এলডিসি থেকে উত্তরণ থেকে শুরু করে মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা পর্যন্ত বড় পরিসরে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে এবং এসডিজি অর্জনে আমাদের পথনির্দেশনা দেবে।’
কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্কের পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী তাঁর বক্তব্যে বক্ত্ব্য বলেন, ‘এসব কৌশলগত অগ্রাধিকার মানবাধিকারের সুরক্ষা ও অনুশীলনে সর্বজনীনতা, সমতা ও ন্যায্যতার মূলনীতি অনুসরণ করবে। বাংলাদেশ যেহেতু অসমতা হ্রাসের চেষ্টা করছে, কাজেই অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার নীতি ও কর্মসূচিগুলো হতে হবে অপেক্ষাকৃত আরও সুনির্দিষ্ট এবং বিশেষভাবে প্রান্তিক ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তাগুলো চিহ্নিত করতে হবে, যাদের অনেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চক্রাকারে দারিদ্র্যপীড়িত এবং সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিবেচনার বাইরে রয়েছে। জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার আজ এমন একটি কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্কের উদ্বোধন করছে, যা ওই মানুষগুলো পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের চুক্তি হিসেবে কাজ করবে।’
উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের সংস্থাগুলো, তহবিল ও কর্মসূচি স্বাধীনতার সময় থেকেই বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ও বিশ্বস্ত অংশীদার এবং উল্লেখযোগ্যভাবে সার্বিক উন্নয়ন অর্জনে তারা ভূমিকা রেখেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘…দেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটাতে মধ্যবর্তী কৌশল বাস্তবায়নে, অতীত সাফল্যের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত অর্থনীতির মর্যাদা অর্জনে টেকসই পথরেখা তৈরিতে এই কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক দৃঢ়ভাবে সহযোগিতা করবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এই ফ্রেমওয়ার্ক সরকারকে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন—উভয় পদক্ষেপেই, অন্তর্ভূক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক সুশাসনে সহযোগিতা করবে এবং এটি জেন্ডারসমতা নিশ্চিত করবে ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নির্মূলে সরকারের হাত শক্তিশালী করবে।’
পুরো নথিটি পড়ুন এখানে:
United Nations Sustainable Development Cooperation Framework (UNSDCF) 2022-2026
1 এর 4

প্রেস রিলিজ
০১ জুন ২০২৩
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্যসাহায্য হ্রাস: বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আবেদন
আজ, ১ জুন থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাসিক খাদ্য ভাউচার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার কমানো হচ্ছে - এটি হবে দৈনিক রেশনের ৩৩% হ্রাস।শরণার্থীদের প্রত্যেককে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার (৮৪০ টাকা) সমমূল্যের ফুড ভাউচার দেয়া হবে প্রতি মাসে। এটুকুই শরণার্থীদের জীবন ধারণের উপায়, অন্য কোনো বিকল্প তাদের নেই। মা-বাবারা ইতোমধ্যে কম খাচ্ছেন, যাতে তাদের সন্তানেরা খেতে পায়। রেশনের কাটছাঁট প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর জীবনে প্রভাব ফেলবে, যারা খাদ্যসাহায্যের উপরেই নির্ভরশীল, যাদের জীবনধারণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ-সম্ভাবনা নেই।
চলতি বছরের শুরুতে শরণার্থীরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে মাথাপিছু মাসিক ১২ মার্কিন ডলার মূল্যমানের রেশন পাচ্ছিলেন, যা দিয়ে কেবল তাদের দৈনিক চাহিদাটুকু মিটত। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে ১ মার্চ থেকে তাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলার করা হয়। এখন থেকে তা হবে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার মূল্যমানের।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্যসাহায্য হ্রাস করা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্যসাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে এর ফল হবে ভয়াবহ; নারী, শিশু ও সবচেয়ে নাজুক মানুষেরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায়, তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খাদ্য ও শিক্ষার জন্য, মোট যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার মাত্র ২৪.৬ শতাংশের অর্থায়ন মিলে; এই শরণার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতার আর কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাসরত মানুষের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই; তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের উপর।”
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন-রক্ষাকারী সহায়তায় এই নতুন কাটছাঁটের উদ্যোগ নেওয়া হলো এমন এক সময় যখন তারা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব আর সেই সঙ্গে তাদের শিবিরগুলোতে এই বছরের বিরাট এক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন; যার ফলে হাজার হাজার শরণার্থীর সাহায্য ভীষণ প্রয়োজন।
চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক, কারণ ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের যে আবেদন ২০২৩ সালে করা হয়েছে, ১ জুন নাগাদ তার মাত্র ২৪.৬ শতাংশ অর্থায়ন মিলেছে; এর ফলে অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডেও কাটছাঁট করা হচ্ছে।
আরও তথ্য:
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো মানবিক সাহায্য সংস্থা, যা বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে এবং সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে খাদ্যসাহায্য প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের পথ নির্মাণে কাজ করে চলেছে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতজনিত ভয়ানক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি। তাদের জন্য জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের অংশীদার সংস্থাগুলো গত ২৩ মে ৪২.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের আবেদন জানায়। ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ৩৩টি শরণার্থী শিবির এবং আশপাশের বাংলাদেশি গ্রামগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রেস অফিসে যোগাযোগ
কুন লি, হেড অব পার্টনারশিপস, কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিপোর্টিং, ডব্লিউএফপি বাংলাদেশ, kun.li@wfp.org, +880 1322846137
ইগর সাজোনভ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়, igor.sazonov@un.org, +8801321169633
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
২৯ মে ২০২৩
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শ্রমজীবীদের দারিদ্র্য-যাপনকে ন্যায্যতা দিতে পারে না
জাতিসংঘের একজন দারিদ্র্য বিশেষজ্ঞ আজ বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে প্রত্যাশিত স্তরে উন্নীত হওয়ার পর একটি অধিকার-ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে সস্তা শ্রমের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে।
চরম দারিদ্র্য এবং মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক, অলিভিয়ার ডি শ্যুটার দেশটিতে ১২ দিনের সফর শেষে বলেন, "মানুষকে দরিদ্রতার মধ্যে রেখে একটি দেশ তার আপেক্ষিক সুফল বা উন্নয়ন ভোগ করতে পারে না।” তিনি আরও জানান, "বাংলাদেশের উন্নয়ন মূলত তৈরি পোশাক শিল্পের মতো একটি রপ্তানি খাত দ্বারা ব্যাপকভাবে চালিত, যা সস্তা শ্রমের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।”
ডি শ্যুটার সরকারকে ২০২৬ সালে এলডিসি মর্যাদা থেকে আসন্ন উন্নীতকরনের সুযোগকে ব্যবহার করে তৈরি পোশাক শিল্পের উপর তার নির্ভরতা পুনর্বিবেচনা করার জন্য আহবান জানান, কারণ উক্ত শিল্প ৪ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বর্তমান রপ্তানি আয়ে শতকরা ৮২ ভাগ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশ যতো উন্নীতকরনের পথে এগুচ্ছে, ততো এটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের ট্যাক্স-প্রণোদনা প্রদান এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে।”
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, "ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, কর্মীদের শিক্ষিত করা ও প্রশিক্ষণ দেয়া এবং সামাজিক সুরক্ষার উন্নতিতে সরকারকে আরও বেশি সময় এবং সম্পদ ব্যয় করা প্রয়োজন । তিনি জানান, "এ জাতীয় উদ্যোগ শুধু সুনামের চিন্তা করে এমন বিনিয়োগকারীদেরই আকৃষ্ট করবে না এটি বাংলাদেশে উন্নয়নের একটি নতুন রূপরেখা তৈরি করবে, যা বৈষম্যমূলক রপ্তানি সুযোগের পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ চাহিদা দ্বারা চালিত হবে।”
বিশেষ প্রতিবেদক স্বাধীনভাবে কাজে বিশ্বাসী সুশীল সমাজের উপর সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নানাবিধ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, উক্ত আইনের অধীনে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদদের তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগের কারণে আটক করা হয়েছে।
ডি শ্যুটার বলেন,"এই বিষয়গুলো দেশটি যে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে কেবল তাদেরই শঙ্কিত করবে না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে।" "আপনি জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা বা সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারবেন না।"
তার সফরকালে তিনি সারা দেশ ভ্রমণ করেন এবং দারিদ্র্যসীমায় থাকা জনগোষ্ঠীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “দেশ সামগ্রিক আয়ের বৈষম্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করলেও, এখনও বহুমাত্রিক দারিদ্র্য রয়ে গেছে এবং বিশেষ করে, শহরাঞ্চলে আয়-বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।”
বিশেষ প্রতিবেদক বলেন, “সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি অসম হয়েছে; আদিবাসী, দলিত, বেদে, হিজরা এবং ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘু যেমন- বিহারীদের সুযোগ বঞ্চিত করা হয়েছে।” “সরকার উন্নয়নের নামে অনানুষ্ঠানিক বসতিগুলোতে উচ্ছেদ চালিয়েছে। এক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্রদান না করে বাসস্থানের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।”
ডি শ্যুটার সরকারকে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও যৌক্তিক করার জন্য আহবান জানান, যেটিকে তিনি "এডহক বা সাময়িক ভিত্তিতে ১১৯টি স্কিমের একটি সমন্বিত কর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এগুলো দুর্বলভাবে সমন্বিত, যা বাংলাদেশীদের প্রত্যাশিত আয়ের নিরাপত্তা প্রদান করে না।”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, কর থেকে প্রাপ্ত জিডিপি-এর অনুপাত উল্লেখযোগ্য হারে কম হয়েছে (প্রায় ৭.৮ শতাংশ) এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরনে অর্থায়নের জন্য প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সরকারী রাজস্ব আসে পরোক্ষ কর থেকে, অথচ আয়ের উপর প্রত্যক্ষ কর থেকে আসে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। “চিত্রটি উল্টো হওয়া উচিত। উচ্চ-আয় উপার্জনকারী মানুষ এবং বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জনসাধারণের পরিষেবা এবং সামাজিক সুরক্ষার অর্থায়নে অবদান রাখতে হবে, গ্রাহকদের নয়।”
বিশেষ প্রতিবেদক বলেন,"জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নতুন এবং উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি থেকে জনসংখ্যাকে রক্ষা করার জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি তৈরি করা উচিত।” তিনি উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র ২০২২ সালে, ৭.১ মিলিয়ন বাংলাদেশী নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য বিপর্যয়ের কারণে বা জলের লবণাক্তকরণের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে ও তাদের জীবিকা হুমকির সম্মুখীন হয়।
বিশেষ প্রতিবেদকের মিশনের অংশ হিসেবে কক্সবাজার সফর অন্তর্ভুক্ত ছিল, ডি শ্যুটার সেই শরনার্থী শিবিরসমূহ পরিদর্শন করেন যেখানে ৯৭৭,৭৯৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে তাদের মাতৃভূমির গণহত্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে এসেছে। প্রায় এক মিলিয়ন শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে জনাকীর্ণ দেশ বাংলাদেশের সরকারকে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি আশ্রয় শিবিরের বসবাস-অনুপযোগী অবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞ বলেন, ”প্রত্যাবাসনের শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের একটি স্বচ্ছন্দ্য ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয়েরই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।"
বিশেষ প্রতিবেদক জানান, এটি ”অনভিপ্রেত” যে, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে জরুরি মানবিক প্রয়োজন মোকাবেলায় ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যৌথ পরিকল্পনার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক দাতারা এতোই কম অবদান রেখেছে যে চাহিদার মাত্র শতকরা ১৭ ভাগ অর্থায়ন জোগাড় হয়েছে। মার্চ ২০২৩ সাল থেকে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে তার খাদ্য ভাউচারের মূল্য প্রতি মাসে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ১০ ডলার করতে হয়েছে, এবং এটি আগামী জুনে আরও কমিয়ে ৮ ডলার করা হবে।
ডি শ্যুটার সতর্ক করেন, অপুষ্টি এবং যথেষ্ট পুষ্টির অভাব বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে শিশুদের পরিণতি ভয়াবহ হবে। তার ভাষায়, “পরিবারগুলো মরিয়া হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সরকার যদি রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় এবং মানবাধিকার আইন অনুযায়ী তাদেরকে আয়-উপার্জনের সুযোগ করে দেয়, তবে অন্তত তাদের কিছুটা কষ্ট লাঘব হবে।”
২০২৪ সালের জুনে বিশেষ প্রতিবেদক তার বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বশেষ প্রতিবেদন মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করবেন।
সমাপ্ত।
২০২০ সালের মে মাস থেকে ওলিভিয়ার ডি শ্যুটার (বেলজিয়াম) চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক নিয়োগকৃত এবং বিশেষ প্রক্রিয়ার অংশ। স্পেশাল প্রসিজারস (বিশেষ প্রক্রিয়া) হল জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার সাধারণ নাম, যা বিশ্বের সর্বত্র নির্দিষ্ট দেশের পরিস্থিতি বা বিষয়গত সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করে। স্পেশাল প্রসিজারস এর বিশেষজ্ঞরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। তারা জাতিসংঘের পেশাদার কর্মী নন এবং তাদের কাজের জন্য বেতন পান না। তারা যে কোনো সরকার বা সংস্থা থেকে স্বাধীন এবং তারা তাদের ব্যক্তিগত সক্ষমতায় সেবা দিয়ে থাকেন।
ইউএন হিউম্যান রাইটস কান্ট্রি পেজ - বাংলাদেশ
আরও তথ্য পেতে এবং সংবাদ প্রাপ্তির জন্য অনুগ্রহপূর্বক যোগাযোগ করুন: সাকশি রাই, ফোন: + 41229174258 (sakshi.rai@un.org) অথবা কেইট হোমস (+44 78 035 02410 / kate.holmes@srpoverty.org)
জাতিসংঘের অন্যান্য স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের বিষয়ে মিডিয়া অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করুন: মায়া ডিরোয়াজ, (maya.derouaz@un.org) অথবা ধারিশা ইন্দ্রগুপ্ত (dharisha.indraguptha@un.org).
বিশেষ প্রতিবেদকদের অনুসরণ করুন: @srpoverty
সংবাদ সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের অন্যান্য মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের অনুসরণ করুন: @UN_SPExperts
আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তা নিয়ে কি আপনি উদ্বিগ্ন?
তবে আজই পাশে দাঁড়ান কারও না কারও অধিকার রক্ষায়।
#Standup4humanrights (#মানবাধিকারের জন্য পাশে দাঁড়ান।)
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
২৮ মে ২০২৩
জাতীয় টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটির
আজ ২৮ মে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, গোয়েন লুইস যৌথভাবে বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটি (বিপিএসডব্লিউসি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এই কমিটি বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির সাথে একসাথে কাজ করার জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয়ে এই কমিটি প্রতিষ্ঠার জন্য আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় । এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি সহ বেসরকারি খাতের এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পৌটিয়াইনেন; বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব, মোঃ মনিরুল ইসলাম; এফবিসিসিআই এর সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোঃ শহীদুল্লাহ এবং বাণিজ্য ও ট্যারিফ নীতির উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ; এবং বিইএফ এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ।
BPSWC প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানিয়ে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, গোয়াইন লুইস, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ২০২২-২০২৬ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্কের (UNSDCF) কর্মপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকে এই কমিটির কাজের সাথে সম্পৃক্ত করে টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন ।
“যখন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কথা আসে, তখন বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের এখানে অনেক কিছু করণীয় আছে। যা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে অন্যদের সম্পৃদ্ধ করবার পাশাপাশি তাদের জন্যও লাভজনক। SDGs এবং ২০২৩ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকা অপরিহার্য। বাংলাদেশ তখনই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অর্ন্তভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে যখন বেসরকারি খাত এই লক্ষ্যে তার ভূমিকা পালন করবে। তাই বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটি গঠনকে আমি স্বাগত জানাই।" বলেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে সহায়তা করার জন্য BPSWC-এর কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে FBCCI-এর সভাপতি এবং BPSWC-এর চেয়ারম্যান, মোঃ জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (BEF) সভাপতি এবং BPSWC-এর কো-চেয়ারম্যান আরদাশির কবির, তাদের মতামত বক্তব্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পৌটিয়াইনেন এবং বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এই কমিটি গঠনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন জাতিসংঘের সংস্থাগুলো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য তাদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী বিপিএসডব্লিউসি-এর সাথে একত্রে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে, যা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথকে মসৃণ করবে।
BPSWC কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশ বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কোম্পানি উনিশ জন প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করা হয়েছে, একই সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বা জাতিসংঘ সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা অতিথি বা পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিটির চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণে বিপিএসডব্লিউসি সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
২৫ মে ২০২৩
SDG ক্যাফে-এর সফল দ্বিতীয় পর্ব: বাংলাদেশে বিকেন্দ্রীকৃত নবায়নযোগ্য শক্তির চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ
SDG ক্যাফে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি ফ্ল্যাগশিপ গোলটেবিল অনুষ্ঠান | অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব, "বাংলাদেশে বিকেন্দ্রীভূত নবায়নযোগ্য শক্তির চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ" থিমের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, 25 মে, 2023 তারিখে ঢাকার UNOPS বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
এই সংস্করণের মূল বক্তা, ড. ইজাজ হোসেন, বুয়েটের প্রাক্তন প্রকৌশল বিভাগের ডিন এবং শক্তি ও পরিবেশের একজন সম্মানিত বিশেষজ্ঞ, তার মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করেছেন। ডঃ হোসেন তার জ্ঞান এর মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকৃত নবায়নযোগ্য শক্তির চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ গুলোর উপর আলোকপাত করেছেন, যা টেকসই সমাধানের দিকে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারে| তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে দ্রুত নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এবং এটি সম্পন্ন করার জন্য সরকারী উদ্যোগের সাথে বহু-ক্ষেত্রের স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
জ্বালানি খাতের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত SREDA, BPDB, EU, World Bank, BBDF, UNDP এবং UNRC এর প্রতিনিধিরা আলোচনাকে সমৃদ্ধ করে এবং ভবিষ্যতে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য তাদের সক্রিয় অবদানের আশ্বাস দেন।
UNOPS বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জনাব সুধীর মুরলীধরন তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন:
“SDG Cafe-এর দ্বিতীয় সংস্করণ বিকেন্দ্রীভূত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডারদের সফলভাবে একত্রিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে এই খাতে সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারে। অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সম্মিলিত জ্ঞান এবং অন্তর্দৃষ্টি নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের উদ্যোগগুলিকে রূপ দেবে।”
SDG ক্যাফে দেশের মাল্টিসেক্টরাল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়, অন্তর্ভুক্তিমূলক সংলাপ এবং নেটওয়ার্কিং ও পার্টনারশিপ গড়ে তোলার জন্য একটি আকর্ষণীয় প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে। SDG Cafe বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের প্রচারে UNOPS বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার অংশ। প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের অর্থপূর্ণ আলোচনায় জড়িত হওয়ার জন্য এবং SDGs অর্জনের কার্যকর কৌশলগুলিতে সহযোগিতা করার জন্য অনুষ্ঠানটি একটি কার্যকরী ফোরাম প্রদান করবে।
1 এর 5
প্রেস রিলিজ
২৩ মে ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'য় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তার জন্য বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর আহ্বান
ঢাকা, ২৩ মে, ২০২৩: ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর জন্য জাতিসংঘ ও এর অংশীদাররা আজ ৪ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ৩৩টি শরণার্থী শিবির ও আশেপাশের গ্রামগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়াদানের আওতায় জরুরি আবেদনের মধ্যে রয়েছে শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ৩ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া টেকনাফের বাংলাদেশি পরিবারের জন্য ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ এবং এর অংশীদার সংস্থাগুলো। এই আবেদনে জরুরি চাহিদা পূরণ, বর্ষার আগে প্রস্তুতি এবং জীবন বাঁচানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়ণ ও সেবাকেন্দ্রগুলোর জন্য বৈরী আবহাওয়া ও আগুন প্রতিরোধক উপকরণ ব্যবহারের বিষয়গুলো প্রধান্য পেয়েছে।
গত ১৪ মে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'। ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। আরও অনেকে বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য স্যানিটেশন সুবিধার সুযোগ হারিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষা, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং অন্যান্য সুবিধাকেন্দ্রগুলোও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশি ও শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের যা করতে হবে তা হ'ল স্থাপনাগুলো বৈরী আবহাওয়া এবং অগ্নি-প্রতিরোধক উপকরণ দিয়ে আরও ভাল ভাবে তৈরি করা। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মার্চ মাসে অনেক শরণার্থী তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন এবং পুনরায় সবকিছু নির্মানের কাজ শুরু করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের পরে তারা এখন আবার তাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলি পুনর্নির্মাণ করছে এবং আসন্ন বর্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বছর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছেন কারণ ২০২৩ সালে ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাত্র ১৭% অর্থায়নের অঙ্গীকার পাওয়া গিয়েছে। তহবিলঘাটতির কারণে বছরের মার্চ এবং জুন মাস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো রেশন কমানোর ফলে খাদ্য সহায়তা ৩৩.৩% হ্রাস পাবে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ও কার্যক্রমও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
"শরণার্থীদের কাজ করার সুযোগ নাই এবং তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।" লুইস বলেন, "শরণার্থীদের সম্পূর্ণ খাদ্য রেশন নিশ্চিত করতে ৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এখন ঘূর্ণিঝড়ের পরে ক্যাম্পগুলোর পুনর্গঠন এবং বর্ষার প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সহায়তাও প্রয়োজন।”
লুইস ঘূর্ণিঝড়ের সময় মানুষের জীবন রক্ষায় দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং সাড়াদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
মিয়ানমারের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোও ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লাখ মানুষের সহায়তায় আজ ৩৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে।
মিডিয়া যোগাযোগ
ঢাকা: ইগর সাজোনোভ, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয় কার্যালয়, igor.sazonov@un.org, +8801321169633
কক্সবাজার: সাইয়্যেদ মো. তাফহীম, ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ, tafhim@iscgcxb.org, +8801850018235 অথবা ফাইক উইয়ানিক, ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ, faik@iscgcxb.org, +8801847421667
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: https://rohingyaresponse.org/mocha
1 এর 5
সাম্প্রতিক রিসোর্স
1 / 11
রিসোর্স
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
রিসোর্স
১০ আগস্ট ২০২১
রিসোর্স
০১ জুলাই ২০২১
রিসোর্স
০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
1 / 11