দায়িত্বশীল উৎপাদন ও সদ্ব্যবহার
অভীষ্ট ১২ এর লক্ষ্যমাত্রা
১২.১ উন্নয়নশীল দেশসমূহের উন্নয়ন ও সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে টেকসই উৎপাদন ও ভোগ বিষয়ক কর্মসূচির ১০ বছর মেয়াদি কাঠামো বাস্তবায়নে সকল দেশ কর্তৃক কর্মব্যবস্থা গ্রহণ যাতে অগ্রণী ভূমিকা থাকবে উন্নত দেশগুলোর
১২.২ ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহার ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা
১২.৩ খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তা পর্যায়ে মাথাপিছু বৈশ্বিক খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং ফসল আহরণোত্তর লোকসান (অপচয়) সহ উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলের বিভিন্ন পর্যায়ে খাদ্যপণ্য বিনষ্ট হবার পরিমাণ কমানো
১২.৪ ২০২০ সালের মধ্যে সর্বসম্মত আন্তর্জাতিক পরিকাঠামো অনুযায়ী রাসায়নিক পদার্থ ও সবধরনের বর্জ্যরে জীবনচক্র জুড়ে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর এদের বিরূপ প্রভাব কমাতে বায়ু, পানি ও মাটিতে এদের নিঃসরণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যহারে কমানো
১২.৫ প্রতিরোধ, হ্রাসকরণ, পুনশ্চক্রায়ন (রিসাইকলিং) ও পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বর্জ্য তৈরির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা
১২.৬ সকল কোম্পানিকে, বিশেষ করে বৃহৎ ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে টেকসই কর্মপদ্ধতি গ্রহণে এবং তাদের প্রতিবেদন চক্রে (প্রতিবেদন প্রণয়ন-প্রকাশ-বিতরণ প্রক্রিয়ায়) টেকসহিতা সংশ্লিষ্ট তথ্য সংযোজনে উৎসাহিত করা
১২.৭ জাতীয় নীতিমালা ও অগ্রাধিকার অনুযায়ী সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় টেকসই পদ্ধতির প্রবর্ধন
১২.৮ সর্বত্র সকল মানুষের যেন টেকসই উন্নয়ন ও প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ জীবনরীতি বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য ও সচেতনতা থাকে ২০৩০ সালের মধ্যে তা নিশ্চিত করা
১২.ক ভোগ ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে অধিকতর টেকসই পন্থায় উত্তরণকল্পে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিণির্মাণে সহায়তা দান
১২.খ স্থানীয় সংস্কৃতি ও স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন পণ্যসামগ্রীর প্রচার ও প্রসার সহ নতুন নতুন কর্মসুযোগ সৃষ্টিকারী টেকসই পর্যটনশিল্পে টেকসই উন্নয়নের প্রভাব পরিবীক্ষণকল্পে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন
১২.গ জাতীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী (হস্তক্ষেপ দূর করে) বাজার বিচ্যুতির অবসান ঘটিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে প্রদত্ত অপচয় উদ্বুদ্ধকারী অদক্ষ ভর্তুকিসমূহের যুক্তিযুক্ত পুনর্নির্ধারণ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর নির্দিষ্ট চাহিদা ও পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বিবেচনায় নিয়ে এবং দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে তাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সম্ভাব্য সকল বিরূপ প্রভাব সর্বনিম্ন পর্যায়ে রেখে পরিবেশগত প্রভাবের প্রতিফলন ঘটিয়ে করকাঠামোর পুনর্গঠন ও ক্ষতিকর ভর্তুকির ক্রম বিলুপ্তি (যেখানে বিদ্যমান) সহ অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ
উৎস: জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন