জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা পরিকাঠামো (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২৬-এর অগ্রগতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল একটি যৌথ সভা করেছে। সভায় নিজ নিজ পক্ষে নেতৃত্ব দেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ যৌথভাবে ২০২১ সালে ইউএনএসডিসিএফ ২০২২-২৬ প্রবর্তন করে। টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলো অর্জনে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দিতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা এই পরিকাঠামোয় রয়েছে। ৫টি কৌশলগত অগ্রাধিকারের উপর বিস্তৃত এই পরিকাঠামোটি প্রায় ২৭টি ফলাফল অর্জনের নিমিত্তে প্রবর্তিত হয়েছে।
বৈঠকে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের ১৭টি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ২০২৩ সালের অগ্রগতি এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোয় ২০২৪ সালের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, সুশাসন ও জেন্ডার সমতা। জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা সভায় ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের একটি আর্থিক পর্যালোচনাও উপস্থাপন করেন।
সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী টেকসই উন্নয়নে এবং স্বল্পোন্নত দেশের কাতার (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের ২০২৬ সালে উত্তরণে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বহুপাক্ষিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়নের অভীষ্টগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা শেষে, সরকারী মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের সংস্থাসমুহের অংশগ্রহণকারীরা গত এক বছরে বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এবং গঠিত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিও পূনর্ব্যাক্ত করেন।
এ সংক্রান্ত পরবর্তী বৈঠকটি ২০২৪ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে।