টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য
17

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদারিত্ব

টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব উজ্জীবিতকরণ ও বাস্তবায়নের উপায়সমূহ শক্তিশালী করা।

অভীষ্ট ১৭ এর লক্ষ্যমাত্রা

অর্থায়ন

১৭.১   আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর ও অন্যান্য রাজস্ব সংগ্রহের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ জোরদার করা

১৭.২   অনেক উন্নত দেশ কর্তৃক প্রতিশ্রুত উন্নয়নশীল দেশের জন্য স্থূল জাতীয় আয়ের (জিএনআই) ০.৭ শতাংশ এবং স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জিএনআই এর ০.১৫ থেকে ০.২০ শতাংশ সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) প্রদানের লক্ষ্য অর্জনসহ উন্নত দেশগুলো কর্তৃক সরকারি উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন; স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে জিএনআই এর কমপক্ষে ০.২০ শতাংশ সরকারি উন্নয়ন সহায়তা দানের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য দাতা দেশগুলোকে উৎসাহিত করা

১৭.৩   বহুবিধ উৎস হতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত আর্থিক সম্পদ আহরণ

১৭.৪   ঋণ- অর্থায়ন, ঋণ অব্যাহতি ও ঋণ পুনর্গঠনকল্পে যথোপযুক্ত সমন্বিত নীতিমালার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ-পরিশোধ সক্ষমতা অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা দান এবং চরম ঋণগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণের বোঝা ও দুর্দশা লাঘবের উদ্যোগ গ্রহণ

১৭.৫   স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন

প্রযুক্তি

১৭.৬   বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনা বিষয়ে এবং এসংশ্লিষ্ট অভিগম্যতার ক্ষেত্রে উত্তর-দক্ষিণ, দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিপাক্ষিক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং (বিশেষত জাতিসংঘ পর্যায়ে) বিদ্যমান প্রক্রিয়াসমূহের মধ্যে উনড়বত সমন্বয় ও একটি বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত সমর্থন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পারস্পরিকভাবে সম্মত শর্তে জ্ঞানের আদানপ্রদান বাড়ানো

১৭.৭   পারস্পরিকভাবে সম্মত উদারনৈতিক ও প্রাধিকারমূলক শর্তসহ অনুকূল (সহজ) শর্তে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়ন, হস্তান্তর, প্রচার ও বিস্তার ঘটানো

১৭.৮   ২০১৭ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য পুরোদমে প্রযুক্তি ব্যাংক চালুসহ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সক্ষমতা বিনির্মাণ প্রক্রিয়া কার্যকর করা এবং সহায়ক প্রযুক্তি, বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো

সক্ষমতা বিনির্মাণ

১৭.৯   টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ বাস্তবায়নে গৃহীত জাতীয় পরিকল্পনার সমর্থনে দক্ষ ও সুনির্দিষ্ট সক্ষমতা-বিনির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে উত্তর-দক্ষিণ, দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতা সহ আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানো

বাণিজ্য

১৭.১০   দোহা উন্নয়ন এজেন্ডার সফল পরিসমাপ্তিসহ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় একটি সর্বজনীন, নিয়মতান্ত্রিক, উন্মুক্ত, বৈষম্যহীন, ও ন্যায়সঙ্গত বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রবর্ধন

১৭.১১   বৈশ্বিক রপ্তানিতে ২০২০ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশ দ্বিগুণ বৃদ্ধি সহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো

১৭.১২   স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য প্রাধিকারভিত্তিক উৎস সংক্রান্ত বিধিমালা স্বচ্ছ ও সহজ করা এবং এভাবে তাদের অবাধ বাজার সুবিধা প্রদান সহ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্তের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বল্পোন্নত সকল দেশের জন্য স্থায়ী ভিত্তিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজারসুবিধা বাস্তবায়ন

পদ্ধতিগত বিষয়াদি নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক সুসঙ্গতি/সুসঙ্গত নীতি ও প্রতিষ্ঠান

১৭.১৩   নীতিসমূহের সমন্বয় ও সুসঙ্গতি সাধনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি

১৭.১৪   টেকসই উন্নয়নের জন্য নীতিসমূহের অধিকতর সুসঙ্গতি সাধন

১৭.১৫   দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য নীতিমালা প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নে প্রতিটি দেশের নীতি-স্বাধীনতা ও নেতৃত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন

বহুঅংশীভিত্তিক অংশীদারিত্ব

১৭.১৬   সকল দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা দানকল্পে বহুঅংশীভিত্তিক অংশীদারিতার মাধ্যমে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি ও আর্থিক সম্পদ আহরণ ও বণ্টন সম্পূরণের দ্বারা টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি

১৭.১৭   অংশীদারিতার অভিজ্ঞতা ও সংস্থান কৌশলের ওপর ভিত্তি করে কার্যকর সরকারি, সরকারি-বেসরকারি ও সুশীল সমাজের অংশীদারিত্ব প্রবর্ধন ও উৎসাহ দান

উপাত্ত, পরিবীক্ষণ ও জবাবদিহিতা

১৭.১৮   আয়, লিঙ্গ, বয়স, জাতিসত্ত্বা, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, অভিবাসন, অসামর্থ্য (প্রতিবন্ধিতা) ও ভৌগোলিক অবস্থান এবং জাতীয় প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিসামষ্টিকৃত (বিভাজিত) উন্নতমানের, সময়োপযোগী ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপাত্তের প্রাপ্যতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে সক্ষমতা বিনির্মাণ সহায়তা বৃদ্ধি করা

১৭.১৯   ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সম্পূরক হিসেবে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতি পরিমাপে বিদ্যমান উদ্যোগের উন্নতি সাধন এবং পরিসংখ্যানগত সক্ষমতা বিনির্মাণে সহায়তা প্রদান

উৎস: জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন