টেকসই নগরায়ন ও সমাজ
অভীষ্ট ১১ এর লক্ষ্যমাত্রা
১১.১ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য পর্যাপ্ত, নিরাপদ ও মূল্যসাশ্রয়ী আবাসন এবং মৌলিক সুবিধায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সহ বস্তির উন্নয়ন সাধন
১১.২ অরক্ষিত পরিস্থিতির মধ্যে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, নারী, শিশু, অসমর্থ (প্রতিবন্ধি) ও বয়োবৃদ্ধ মানুষের চাহিদার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে প্রধানত রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের সম্প্রসারণ দ্বারা সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতিসাধনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ, সাশ্রয়ী, সুলভ ও টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থায় সকলের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা
১১.৩ ২০৩০ সালের মধ্যে সকল দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই নগরায়ণ ব্যবস্থার প্রসার এবং অংশগ্রহণমূলক, সমন্বিত ও টেকসই জনবসতি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি
১১.৪ বিশ্বের সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টা জোরদার করা
১১.৫ দরিদ্র ও অরক্ষিত পরিস্থিতিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে ২০৩০ সালের মধ্যে পানি সম্পৃক্ত দুর্যোগসহ অন্যান্য দুর্যোগে বৈশ্বিক জিডিপির অংশ হিসেবে সরাসরি অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা এবং সেই সাথে এসব দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা
১১.৬ বায়ুর গুণাগুণ এবং পৌর ও অন্যান্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে নগরসমূহের মাথাপিছু পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনা
১১.৭ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিশেষ করে নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও অসমর্থ (প্রতিবন্ধি) মানুষের জন্য নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অবারিত (প্রবেশাধিকারযুক্ত), সবুজ ও উন্মুক্ত স্থানে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার প্রদান করা
১১.ক জাতীয় ও আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা জোরদার করে শহর, উপশহর ও গ্রামীণ এলাকাগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ইতিবাচক সংযোগে সমর্থন দান
১১.খ ২০২০ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি, সম্পদ-দক্ষতা, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন ও প্রশমন, দুর্যোগে অভিঘাতসহনশীলতা সংবলিত সমন্বিত নীতিমালা ও পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে এমন নগর ও মানববসতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা এবং সকল স্তরে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সেনদাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-২০৩০ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সার্বিক দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন
১১.গ স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে টেকসই ও অভিঘাতসহনশীল ভবনাদি নির্মাণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তাসহ অন্যান্য প্রকারে সমর্থন যোগানো
উৎস: জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন