মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা মূল্যায়নের উপর উদ্বোধনী কর্মশালা আয়োজন করে ইউএনওডিসি
১৮ অক্টোবর ২০২৩ - ঢাকা, বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ এবং অনুপ্রবেশযোগ্য সীমানা পাচারের শিকার ভুক্তভোগী এবং চোরাচালানকৃত অভিবাসীদের আন্তঃসীমান্ত স্থানান্তরের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ২০২২ সালের ইউএনওডিসি গ্লোবাল রিপোর্ট অন ট্রাফিকিং ইন পার্সনস অনুযায়ী সকল লিঙ্গ ও বয়সের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা, আন্তঃসীমান্ত পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তঃসীমান্ত মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালানের রোধ করার জন্য এই বিষয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ দরকার। পাশাপাশি এই সকল কাজ সরকারের আইন ও নীতিমালা অনুসারী হতে হবে।
মানব পাচার প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানব পাচারের উপর বাংলাদেশের প্রথম প্রতিবেদন পাচারের ঝুঁকি শনাক্তকরণের সুপারিশ করে, যার মধ্যে অন্যতম ঝুঁকি হল আন্তঃসীমান্ত পাচার। এই প্রেক্ষাপটের আলোকে, ইউএনওডিসি গ্লোবাল অ্যাকশন এগেইন্সট ট্রাফিকিং ইন পার্সন্স অ্যান্ড দ্য স্মাগলিং অফ মাইগ্রেন্টস - বাংলাদেশ (গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ) প্রকল্পের অধীনে ১৮ অক্টোবার ২০২৩ এ মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলার জন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনার মূল্যায়নের ক্ষেত্র নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব এবং গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশের উপ-প্রকল্প পরিচালক মিস ঈশিতা রনি। তিনি মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রম নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেন। তিনি আরও মন্তব্য করেন, "একটি শক্তিশালী সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কৌশল সম্ভাব্য শিকার এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে আটকানোর মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধে ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্স হিসাবে কাজ করে।"
এ ছাড়াও মাহদী হাসান, ইউএনওডিসির ন্যাশনাল প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর, এবং ফাতিমা নুসরাথ গাজ্জালি, আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ, তাদের সংস্থার পক্ষ হতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলার জন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে কর্মশালার ফোকাস ছিল দলগত আলোচনা। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে চারটি মিশ্র দল তৈরি করা হয়।
দলগুলো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন যার মধ্যে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক এবং আইন কাঠামো, স্টেকহোল্ডার বিশ্লেষণ, সমুদ্রপথে মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান, এবং সক্ষমতা-বৃদ্ধির চাহিদা অন্তর্ভুক্ত। দলগত আলোচনার পর প্রতিটি দল তাদের আলোচনার উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনা চলাকালীন, অংশগ্রহণকারীরা সরবরাহিত প্রশ্নাবলীর সাহায্যে তাদের ইনপুটগুলো সুগঠিতভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। মিস রনি সকল অংশগ্রহণকারীদের তাদের বিস্তারিত ইনপুট এবং পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালাটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে, কর্মশালা থেকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান মোকাবেলার জন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উপর মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরির উদ্যোগ নিবে ইউএনওডিসি।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ, সীমান্ত সম্পর্কিত সংস্থা এবং জাতিসংঘের সংস্থা থেকে ৩৯ জন অংশগ্রহণকারী (১০ জন মহিলা, ২৯ জন পুরুষ) কর্মশালায় যোগ দেন।
ইউএনওডিসি গ্লোঅ্যাক্ট-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও জানতে, ভিজিট করুন -
https://www.unodc.org/unodc/en/human-trafficking/glo-act3/index.html