প্রেস রিলিজ

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর বাণী

১৭ মে ২০২৩

এই বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসে আমরা স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে প্রযুক্তির ক্ষমতার ওপর আলোকপাত করছি।

আমাদের যুগে ডিজিটাল বিপ্লব হলো মূল শক্তি।

এই শক্তি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় পরিবর্তন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা পর্যন্ত আমাদের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শুধু তা-ই নয়, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট্যের সবগুলো লক্ষ্য অর্জনেও এই শক্তি আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

তবে প্রযুক্তির প্রকৃত সম্ভাবনা অনুধাবনে আমাদের অবশ্যই এর নেতিবাচক দিকগুলো মোকাবিলা করতে হবে।

এই নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে নৈতিক সীমা-পরিসীমা নির্ধারণ ও জোরালো সরকারি পরিকাঠামোর ঘাটতি।

আরও রয়েছে বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য ও গুজবের প্রসার।

সামাজিক বিভক্তি ও অর্থনৈতিক অসমতা বৃদ্ধি।

এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি। এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে একেবারে সত্যের আদলে অসত্য প্রতিষ্ঠা এবং নিউরাল নেটওয়ার্কের নেওয়া পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত, যা কোনো মানুষের পক্ষে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।

প্রযুক্তিকে অবশ্যই বিভক্তি বাড়ানোর নয়, কমানোর ‍উপকরণ হতে হবে।

ইন্টারনেট মূল্য সৃষ্টি ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসার পর স্বল্পোন্নত দেশগুলো আরও পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

আমাদের অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে এবং তা করতে হবে অন্তর্ভূক্তিমূলকভাবে। আমাদের ডিজিটাল বিভক্তি দূর করতে হবে।

আমাদের অবশ্যই সবার জন্য উন্মুক্ত ডিজিটাল পণ্য যেমন, ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার, ওপেন ডেটা এবং সবার জন্য উন্মুক্ত কন্টেন্ট সৃষ্টি করতে হবে।

আমাদের অবশ্যই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য যুগান্তকারী প্রযুক্তি বুঝতে, পর্যবেক্ষণ, পরিবর্তন-পরিবর্ধন এবং এসব প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও উপকরণ থাকে।

এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া রুখতে, মানবাধিকার রক্ষায় এবং মানবসমাজের ভালোর জন্য, মানুষের সংহতি ও অগ্রগতির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই গ্লোবাল ডিজিটাল কম্প্যাক্ট-এর আওতায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আমি আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নকে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক যোগাযোগ তরাণ্বিত করতে সে অনুযায়ী কাজের নির্দেশ দিচ্ছি।

আসুন, ডিজিটাল বিভক্তি দূরীকরণে এবং সবার জন্য সর্বত্র আরও টেকসই ও সমতার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ গঠনে নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ- বিবরণ

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি