প্রেস রিলিজ

হোমোফোবিয়া, বাইফোবিয়া ও ট্রান্সফোবিয়া বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর এই বাণী

১৭ মে ২০২৩

আমরা যখন হোমোফোবিয়া, বাইফোবিয়া ও ট্রান্সফোবিয়া বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করছি, তখন আমাদের সামনে রয়েছে এক কঠিন সত্য। পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়্যাল, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার ও ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই প্লাস) ব্যক্তিরা সহিংসতা, নির্যাতন, বিদ্বেষমূলক প্রচারণা, অন্যায়–অবিচার, এমনকি হত্যারও শিকার হচ্ছে।

আর পশ্চাৎপদ আইনকানুন দিয়ে বিশ্ব জুড়ে এলজিবিটিকিউআই প্লাস ব্যক্তিদের অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, শুধুমাত্র স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এলজিবিটিকিউআই প্লাস ব্যক্তিদের উপর প্রত্যেকটি আক্রমণ প্রকৃতপক্ষে মানবাধিকার ও আমাদের কাছে প্রিয় মূল্যবোধগুলোর উপর আক্রমণ। আমরা পেছনের দিকে ফিরে যেতে পারি না এবং আমরা পেছনে ফিরে যাব না।

জাতিসংঘ দৃঢ়তার সঙ্গে এলজিবিটিকিউআই প্লাস জনগোষ্ঠীর পাশে রয়েছে; যতদিন না মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদা সকল মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে, ততদিন জাতিসংঘ তাদের পাশে থাকবে।

আমি সকল সদস্যরাষ্ট্রের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র সমুন্নত রাখুন, এবং সম্মতিপূর্ণ সমলিঙ্গীয় সম্পর্ককে এবং ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের অপরাধীকরণের অবসান ঘটান। মানুষের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া কখনোই অপরাধ নয়।

এ বছর এ দিবসের স্লোগান “সর্বদা একত্রে: বৈচিত্র্যে ঐক্যবদ্ধ”। এ স্লোগান উচ্চারণ করে আমি বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এলজিবিটিকিউআই প্লাস ব্যক্তিরা যে কলঙ্কীত, বৈষম্যমূলক ও ক্ষতিকর আচরণ এবং প্রায়শ প্রাণঘাতী সহিংসতার শিকার হচ্ছে তার অবসান ঘটাতে এক অভিন্ন কণ্ঠে আওয়াজ তুলুন।

মানবাধিকার আপসযোগ্য নয়। মানব জাতির প্রত্যেক সদস্যের মানবাধিকার রয়েছে—তিনি কে, কাকে ভালোবাসেন তা নির্বিশেষে তাঁর মানবাধিকার অলঙ্ঘনীয়। আসুন, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক পৃথিবী গড়ার কাজ চালিয়ে যাই, যেখানে সব মানুষ মুক্ত–স্বাধীন এবং প্রত্যেকে সমান মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করবে।

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ- বিবরণ

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি