প্রেস রিলিজ

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর অভিনন্দন

২৬ মার্চ ২০২৩

স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে আমি জাতিসংঘের পক্ষ হতে বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

 

বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে :যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ হতে  দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উত্তরণের পাশাপাশি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) চাইতে অপেক্ষাকৃত উন্নত অবস্থান অর্জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার  (এসডিজি) পরিকল্পিত অর্জনের দোরগোড়ায় উপনীত এই দেশ।

অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারসমূহ জাতিসংঘ পুরোপুরি সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের সাথে জোরালো ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক মূল্যবোধগুলোকে গুরুত্ব প্রদান করে। 

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পূর্বেই প্রণীত এই দেশের সংবিধানে জনগণের যে সকল মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, সেগুলো হলো : বাক স্বাধীনতার অধিকার, ধর্ম চর্চার অধিকার, চলাফেরা ও সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার, নিজভাষায় কথা বলার অধিকার এবং জাতিসংঘ সনদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য অধিকার।



বাংলাদেশের রয়েছে নানাবিধ অর্জন - অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, জলবায়ু ঝুঁকিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থান এবং প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত জানানো ও আশ্রয় দানের সুবিশাল উদারতা।

বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অতিথিপরায়ণতা হলো এ দেশের বহুমুখী সমৃদ্ধির কেবল একটি দিক, যে ব্যাপারে প্রতিদিন অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরে  আমি ও আমার সহকর্মীগণ নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি।

আপনাদের সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা!

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

আরসিও
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি