ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের সাথে ইফতারে শরিক হলো জাতিসংঘ
২০ এপ্রিল ২০২৩
রমজান মাস উদযাপনকারী সকলেই পুরো মাস দিনের বেলা রোজা রাখেন এবং সন্ধ্যায় ইফতার গ্রহণ করেন।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেভাবে রোজা ভাঙতেন, রোজা পালনকারীগণ সেভাবে তিনটি খেজুর খেয়ে চিরাচরিতভাবে তাঁদের রোজা ভেঙ্গে থাকেন। তারপর বিভিন্ন রকম খাবার সহযোগে ইফতারির পালা, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে এবং সেইসাথে বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে ফল এবং বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি শরবতের মিষ্টি পানীয় ইফতার টেবিলের একটি অভিন্ন পরিবেশনা।
কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী আব্দুল্লাহ, সায়মা, আয়েশা এবং অন্যান্য অনেক শিশুর নিকট রমজান মাস হলো প্রার্থনা, রোজা পালন এবং পিয়াজু, ছোলা, জিলাপি, ইত্যাদি সহযোগে চিরাচরিত 'ইফতারি'র মাস। কিন্তু সবসময় এই ইফতারিগুলিও তাদের খাবার টেবিলে স্থান পায়না।
১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতিসংঘ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানোর লক্ষ্যে বের হন। এই টীম ইফতারের জন্য ৫০০ খাবার প্যাকেট ও উপহার বাক্স শিশুদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে কড়াইল এতিমখানা, গাবতলী, কমলাপুর ও সদরঘাট - ঢাকা মহানগরীর এই চারটি স্থানে যান ।
"ইফতারের সময় এই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সাথে সময় কাটানো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের সহানুভূতি ও সহায়তা শিশুদের কতটা প্রয়োজন", বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন। "আজকের সন্ধ্যার ইফতার আয়োজনকে একটি বিশেষ মাত্রা দেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ ও জাতিসংঘ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।"