প্রেস রিলিজ

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সিইআরএফ-এর ৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ক্যাপশন: ©️ ISCG, Saikat Mojumder

 

দ্য ইউনাইটেড নেশনস’ সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড (সিইআরএফ) কক্সবাজারের ক্যাম্পে ও ভাসানচরে আশ্রিত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দিয়েছে । বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ এই তহবিল সিইআরএফ এর মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের একটি অংশ, এ কার্যক্রমটি আফ্রিকা, এশিয়া, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের তহবিল ঘাটতিতে থাকা ১৪টি দেশেও পরিচালিত হচ্ছে।

তহবিল বরাদ্দের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘বাস্তবতা হলো অনেক মানবিক সহায়তা কার্যক্রমেই দাতা সংস্থাগুলো তহবিলের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় তহবিলের পরিমাণ ছিল কম, আর তা এমন সময় কমানো শুরু হয়েছে, যখন সহায়তা গ্রহণকারী মানুষগুলোর জন্য তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করা জরুরি। তবে বিপুল সংখ্যক দাতার উদারতার সৌজন্যে সিইআরএফ সেই শূন্যতা কিছুটা হলেও পূরণ করার চেষ্টা করছে, ফলে জীবন বাঁচছে। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ব্যক্তি শ্রেণীর দাতাদের প্রয়োজন - এটি সকলের এবং সবার জন্য একটি তহবিল।"

বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) পরামর্শক্রমে সিইআরএফ-এর এই বরাদ্দ অর্থ ব্যয় হবে। শরণার্থী ও আশ্রয় দানকারী সমাজ, যাদের সহায়তা পাওয়ার আর কোনো উৎস নেই, তাদের জন্য অগ্রাধিকার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যবহার হবে এই অর্থ। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশীসহ ১.৪৭ মিলিয়ন মানুষের জন্য এ বছর ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো। কিন্তু ৬ সেপ্টেম্বর নাগাদ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের তহবিলে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ তহবিল জমা হয়েছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা একেবারেই অপ্রতুল। এই অবস্থায় তাদের এবং তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ইমার্জেন্সি রিলিফ কোঅর্ডিনেটরের তহবিল বরাদ্দের সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো সাধুবাদ জানায়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এই বরাদ্দ অত্যন্ত জরুরি, কারণ তাদের জন্য মানবিক সহায়তার পরিমাণ কমে গেছে। এই শরণার্থীরা এখনো পুরোপুরি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তহবিলের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের সহায়তা প্রয়োজন।’

সিইআরএফ আজ আরও কয়েকটি দেশে মানবিক সহায়তা জোরদার করতে তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে আফগানিস্তান ও ইয়েমেনের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার, বুরকিনা ফাসোয় ৯ মিলিয়ন ডলার, মালিতে ৮ মিলিয়ন ডলার, মিয়ানমারে ৯ মিলিয়ন ডলার, হাইতিতে ৮ মিলিয়ন ডলার, ভেনেজুয়েলায় ৮ মিলিয়ন ডলার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ৬.৫ মিলিয়ন ডলার, মোজাম্বিকে ৬.৫ মিলিয়ন ডলার, ক্যামেরুনে ৬ মিলিয়ন ডলার, দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ৬ মিলিয়ন ডলার এবং মালাউইর জন্য ৪ মিলিয়ন ডলার করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও উগান্ডার (৬ মিলিয়ন ডলার) জন্যও তহবিল বরাদ্দ হয়েছে, যা সেখানে শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ব্যয় করা হবে।

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

ওসিএইচএ
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়
আরসিও
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি