বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের পুনঃএকত্রীকরণে চ্যালেঞ্জ ও আইওএম এর প্রকল্পের উদ্ভাবনী সমাধান
ঢাকা, অক্টোবার ১৮, ২০২৩
বৈশ্বিক মহামারীতে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের ভয়াবহ সব প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করতে হয়েছে। অভিবাসন সংক্রান্ত নানামুখী জটিলতার সাথে মোকাবেলা করতে সহযোগী অংশীদারদের সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ এর ‘রিমেকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে ফিরে আসা অভিবাসীদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে।
আইওএম উন্নয়ন ফান্ড (আইডিএফ) এর অর্থায়নে ডিসেম্বর ২০২২ এ শুরু হওয়া ‘রিমেকার’ প্রকল্পটি তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে আইওএম। কল্পটি টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু), বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে) এবং ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন সহযোগী সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখে।
আইওএম উন্নয়ন ফান্ড (আইডিএফ) এর অর্থায়নে ডিসেম্বর ২০২২ এ শুরু হওয়া ‘রিমেকার’ প্রকল্পটি তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে আইওএম। কল্পটি টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে রিফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু), বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে) এবং ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন সহযোগী সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখে।
আজ ঢাকায় রিমেকার প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের পর একটি প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আইওএম। স্থানীয় পর্যায়ে আইওএম এর পুনঃএকত্রীকরণের সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োগের ফলে অর্জিত অভিজ্ঞতা নিয়ে এই অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক, মোঃ হামিদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ সরকার, দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অব্দান রাখার ক্ষেত্রে অভিবাসী কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এই প্রকল্পটি বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের কল্যাণ এবং সফল পুনঃএকত্রীকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে পুনঃএকত্রীকরণের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।”
সফল পুনঃএকত্রীকরণের ফলে অভিবাসীরা যে স্বনির্ভরতা অর্জন করবে, তাতে তারা সমাজে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে- এই বিশ্বাস নিয়ে প্রকল্পটি পরিচালিত হয়েছে। তাছাড়া অংশীদারদের পুনঃএকত্রীকরণ বিষয়ে জ্ঞান এবং মাঠপর্যায়ে তা প্রয়োগের যে ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে তা রিমেকার প্রকল্পের সফলতার একটি অন্যতম মাত্রা যোগ করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পটির অভিযোজনমূলক বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে আইওএম বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ, ফাতিমা নুসরাত গাজ্জালী বলেন, “রিমেকার শুধুমাত্র একটি প্রকল্প নয় বরং সংহতি, সহযোগিতা, প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তিসহ সর্বোপরি ফিরে আসা অভিবাসীদের প্রতি সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল প্রতিক। সফল পুনঃএকত্রীকরণের ফলে অভিবাসীদের জীবনে যে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা একটি ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা।”
অনুষ্ঠানে সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সকল অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
রিমেকার প্রকল্পের প্রয়োগের ফলে সফল পুনঃএকত্রীকরণের যে দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে সকল অংশীজনদের তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।