প্রেস রিলিজ

মানবাধিকার দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী

১০ ডিসেম্বর ২০২৩

 ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

 

৭৫ বছর আগে যখন সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা গৃহীত হয়, তখনো যেমন এই ঘোষণার প্রথম লাইনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আজও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ রয়ে গেছে।

 

সার্বজনীন ঘোষণা একটি রূপরেখা, যা যুদ্ধ থামাতে, বিভক্তি দূর করতে এবং সবার জন্য শান্তি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

 

কিন্তু বিশ্ব পথভ্রষ্ট হচ্ছে। সংঘাত বাড়ছে। বাড়ছে দারিদ্র্য আর ক্ষুধা। অসমতা আরও গভীর হচ্ছে। জলবায়ু সংকট মানবাধিকার সংকটে পরিণত হয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সবচেয়ে ভয়াবহভাবে আঘাত হানছে।

 

কর্তৃত্ববাদের উত্থান ঘটছে।

 

নাগরিক সমাজের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে এবং সংবাদমাধ্যম সবদিক থেকে আক্রমণের শিকার হচ্ছে।

 

লিঙ্গসমতা এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। নারীর প্রজনন অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।

 

আজ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক- সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষা যেকোনো সময়ের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব মানবাধিকারই আমাদের সুরক্ষা দেয়।

 

সার্বজনীন ঘোষণা সেই মূল্যবোধ ও পদক্ষেপের পথ দেখায়, যা উত্তেজনা নিরসন এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

 

আমরা যেহেতু একুশ শতকের উপযোগী বৈশ্বিক পরিকাঠামো হালনাগাদ এবং সেগুলোকে আরও কার্যকর করার চেষ্টা করছি, সে ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে অবশ্যই অনন্য ও মূল ভূমিকায় থাকতে হবে।

 

আমি সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকীকে এবং আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ‘ভবিষ্যতের জন্য সম্মেলন’-কে সুযোগ হিসেবে নিয়ে নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন বেগবান করতে সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

 

এবং আজ এই মানবাধিকার দিবসে আমি বিশ্বের সব মানুষের প্রতি সব জায়গা প্রতিটা দিন সবার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং এই বিষয়টির প্রচার চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

ওএইচসিআর
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি