প্রেস রিলিজ

বিশ্ব মানব পাচার বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস - এর বাণী:

২৭ জুলাই ২০২১

‘ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতাই পথ দেখায়’

বৈশ্বিক মহামারি এবং ক্রমবর্ধমান অসমতা ও ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে মানবপাচারের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলোর কথা হারিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এদের কথা শোনা এখন আরও বেশি জরুরি কারণ, কোভিড–১৯ সংকট তাদের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে এবং আরও সংকট তৈরী করেছে।

কোভিড মহামারি আরও প্রায় ১২৪ মিলিয়ন মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এতে কোটি কোটি মানুষ মানবপাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।শিশুরা অনেক বড় ঝুঁকিতে রয়েছে এবং তা বেড়েই চলেছে। বিশ্ব জুড়ে মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের এক–তৃতীয়াংশ শিশু। এই হার গত ১৫ বছরে তিনগুণ বেড়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীর অর্ধেকই শিশু, যাদের সিংহভাগকে জোরপূর্বক শ্রমের জন্য পাচার করা হয়। সব জায়গায়ই ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলোকে চিহ্নিত,নিয়ন্ত্রণ ও তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিতে অপরাধীচক্র প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক বিয়ে ও অন্যান্য নিপীড়নের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে শিশুদের লক্ষ্যবস্তুত বানানোর হার দিনে দিনে বাড়ছে।

যৌন নিপীড়নের জন্য নারী ও মেয়ে–শিশু পাচার এখনো সবচেয়ে ব্যাপক ও ঘৃণিত মানবপাচারের অন্যতম রূপ হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। পাচারের শিকার ব্যক্তির সংখ্যা বেশির ভাগ অঞ্চলেই অভিবাসীদের অর্ধেকের বেশি।

মানবপাচার প্রতিরোধ, ভুক্তভোগীকে সহায়তা এবং পাচারচক্রের সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্বজুড়ে সরকারগুলোকে অবশ্যই জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কনভেনশান এবং মানবপাচার রোধকরণ, হ্রাসকরণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য  প্রটোকলের বাস্তবায়ন।

মানবপাচারের শিকারের ভুক্তভোগীদের বক্তব্য অনুযায়ীই আমাদের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ঝুঁকির অবস্থা ও ধরণ চিহ্নিত করা, মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও সুরক্ষা এবং তাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি তাদের দুর্বলতার সুযোগ নেওয়াদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের অবদানই সবচেয়ে জরুরি।

এই ভয়ঙ্কর অপরাধ প্রতিরোধ ও বন্ধে মানবপাচারের শিকারভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনা ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া,তাদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা, তাদের কথা তুলে ধরা ও তাদের কাছ থেকে শিখতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ- বিবরণ

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি