প্রেস রিলিজ

নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে - জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাণী

২৫ নভেম্বর ২০২১

পরিবর্তন সম্ভব। এখন সময় আমাদের এই প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ জোরদার করা, যাতে করে আমরা এক সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটাতে পারি।

নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা আজকের বিশ্বেও মানবাধিকারের অত্যন্ত ব্যাপক ও চাপ সৃষ্টিকারী ইস্যু হয়ে রয়ে গেছে।

এটি একদিকে যেমন ঘৃণ্য অপরাধ, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা, যার প্রভাব বিশ্বের সর্বত্র লাখো নারী ও কন্যাশিশুর জীবনে ব্যাপকভাবে পড়ছে।

জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ মহামারির সময় নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা আরও বেড়েছে।

১৩টি দেশে প্রায় অর্ধেক নারী বলেছেন, মহামারির সময় হয় তাঁরা নিজেরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নতুবা তাঁরা পরিচিত অন্য কোনো নারীকে নির্যাতনের শিকার হতে দেখেছেন।

প্রায় এক-চতুর্থাংশ নারী বলেছেন, পারিবারিক সংঘাত আরও বেড়ে গেছে। একই পরিমাণ নারী বলেছেন, পরিবারে তাঁরা অপেক্ষাকৃত কম নিরাপদবোধ করছেন।

সমাজের যেকোনো অংশে সহিংসতা আমাদের সবার ওপর প্রভাব ফেলে। বিষয়গুলো পরবর্তী প্রজন্মের মনে যেমন দাগ কাটে, একইভাবে সামাজিক বন্ধন দুর্বল করে দেয়।

আমরা নারীর প্রতি সহিংসতা, নাগরিক নিপীড়ন ও সহিংস সংঘাতের মধ্যে একটি সরলরেখা দেখতে পাচ্ছি। এই সরলরেখার ব্যাপ্তী যুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন দাসত্বকে যেমন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার থেকে সহিংস চরমপন্থায় নারীর প্রতি অবমাননা পর্যন্ত।

তবে নারীর প্রতি সহিংসতা অনিবার্য কিছু নয়। সঠিক নীতি আর কর্মসূচি এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

অর্থাৎ সহিংসতার মূল কারণগুলোকে মোকাবিলায় সক্ষম ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নারী ও কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষা করতে পারে এবং শক্তিশালী ও স্বনিয়ন্ত্রিত নারী অধিকার আন্দোলনকে বেগবান করতে পারে।

জাতিসংঘ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ঠিক এই মডেলই তৈরি করেছে, যা স্পটলাইট ইনিশিয়েটিভ নামে পরিচিত।

গত বছর অংশীদার দেশগুলোতে আমরা নারীর প্রতি সহিংসতার অপরাধে অপরাধীদের বিচার ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখেছি। ৮৪টি আইন ও নীতি প্রণয়ন অথবা জোরদার করা হয়েছে। এবং মহামারির কারণে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সাড়ে ছয় লাখের বেশি নারী ও কন্যাশিশু লিঙ্গপরিচয় ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হওয়ার পর সেবা নিতে দেখেছি।

পরিবর্তন সম্ভব।

এখন সময় আমাদের এই প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ জোরদার করা, যাতে করে আমরা এক সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটাতে পারি।

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ- বিবরণ

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি