সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাণী
১২ ডিসেম্বর ২০২১
যতক্ষণ পর্যন্ত সব দেশের জন্য এই মহামারির ইতি না ঘটবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো একক দেশের পক্ষে এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে না।
আমরা কোভিড-১৯ মহামারির তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছি।আমাদের অবশ্যই ন্যায্য, পুনরুদ্ধারমূলক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সবার প্রয়োজনীয়তা পূরণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জরুরিভিত্তিতে শক্তিশালী করতে হবে।
কোভিড-১৯ বিশ্বের প্রায় প্রতিটা প্রান্তে পৌঁছে গেছে, কিন্তু আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে সব প্রান্তে পৌঁছাতে পারিনি।এই স্বাস্থ্যগত জরুরি পরিস্থিতির অভিঘাত সেই সব দেশেই সবচেয়ে বেশি লেগেছে, যেসব দেশে সবার জন্য মানসম্পন্ন, সুলভ সেবা দিতে সক্ষম স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আমাদের অবশ্যই বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে এবং প্রমাণিত সমাধানগুলোর প্রয়োগ জোরদার করতে হবে।অর্থাৎ আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল জায়গায় আরও বেশি ও আধুনিক বিনিয়োগ করতে হবে, যেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি সেবা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রাধান্য পাবে।
অর্থনীতি ও সমাজ পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি ভবিষ্যতের মহামারির জন্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সেরা বিমা হলো সংকট আসার আগেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জোরদার করা। গত বছর কোভিড-১৯-এর অসম বণ্টন বিশ্বের জন্য একটি নৈতিক ব্যর্থতা।
এই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত সব দেশের জন্য এই মহামারির ইতি না ঘটবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো একক দেশের পক্ষে এই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পাওয়াসম্ভব হবে না।
আজকের এই সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবসে আসুন আমরা কোভিড-১৯ মহামারির সমাপ্তি ঘটাতে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এমন বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই, যেন কেউ পেছনে পড়ে না থাকে।