প্রেস রিলিজ

বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনে একত্রে কাজ করছে

১১ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশ কান্ট্রি টিম টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহের (এসডিজি) অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার একটি সামগ্রিক পর্যালোচনা উদ্দেশে সভার আয়োজন  করে।

বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাননীয় সচিব ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর যৌথ সভাপতিত্বে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো (ইউএনএসডিসিএফ) ২০২২-২৬ এর যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইউএনএসডিসিএফ বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের সকল সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচির যৌথ স্বাক্ষরে গৃহীত একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকসই উন্নয়নের অভীষ্টসমূহ অর্জনে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা।

বাংলাদেশ সরকারের ২২টি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের ১৭টি সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচির প্রতিনিধিগণ যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ  করে আলোচনা করেন যে, কীভাবে এই কমিটি  ইউএনএসডিসিএফ এর আওতায় ২০২২ সালে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচির সহায়তায় অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়সঙ্গত মানব উন্নয়ন ও কল্যাণ, টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক পরিবেশ, রূপান্তরমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা এবং জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা দূর করার প্রচেষ্টা নিয়ে যে কাজ করতে ২৪১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সমমূল্যের অর্থ কাজে লাগিয়েছে।

সভায়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাননীয় সচিব, শরিফা খান, জাতির উন্নয়নে অগ্রসর হওয়ার জন্য জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভূমিকার উপর জোর দেন। তিনি আরও আস্থা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ যেহেতু ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আগামী বছরে এই সহযোগিতা আরও ত্বরান্বিত হবে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের যাত্রায় তাদেরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাউকে পিছিয়ে না রাখতে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, শুধু উন্নয়নের অগ্রগতিই নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার রয়েছে।

অধিক তথ্যঃ

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামো (২০২২-২৬) ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের সকল সংস্থা, তহবিল ও কর্মসূচির যৌথ স্বাক্ষরে গৃহীত জাতিসংঘের একটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।

ইউএনএসডিসিএফ কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এবং দেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বর্ণিত মূল উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।

বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাননীয় সচিব এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়কারীর যৌথ সভাপতিত্বে জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ইউএনএসডিসিএফ বাস্তবায়ন, পর্যায়ক্রমে অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং কাঠামোর মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে। প্রথম জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভা ২০২২ সালের নভেম্বরে হয়েছিল এবং ২০২৩ সালে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ বাংলাদেশের বাষিক প্রতিবেদন ২০২২ -এ জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রধান অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচীর ফলাফল বর্ণনা করা হয়েছে।

 

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

আরসিও
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি