ইউএনওপিএস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের সাথে হোস্ট কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট (এইচসিএ) স্বাক্ষর করেছে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে, ইউএনওপিএস বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি (এইচসিএ) স্বাক্ষর করেছে।
ইউএনওপিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জনাব সুধীর মুরলীধরন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সেক্রেটারি) জনাব মাসুদ বিন মোমেন, ডিরেক্টর (এফএসও) জনাব মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন, চিফ অফ প্রটোকল জনাব নাঈম উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি চিফ অফ প্রটোকল জনাব বিদোষ চন্দ্র বর্মন, এবং জাতিসংঘ শাখার মহাপরিচালক (ইউএন) অফিস জনাব মোঃ এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এইচসিএ-তে স্বাক্ষরকারীরা ছিলেন ইউএনওপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক জনাব জর্জ মোরেরা দা সিলভা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) জনাব মাসুদ বিন মোমেন।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ইউএনওপিএস-এর চলমান প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে হোস্ট কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চিহ্নিত করে। বাংলাদেশ সরকার, জাতীয় এনজিও, দাতা, অংশীদার এবং সুশীল সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য, বিশেষ করে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, পরিবেশগত স্থায়িত্ব, টেকসই ক্রয়, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, ইউএনওপিএস সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে।
২০০৩ সাল থেকে ট্র্যাক যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে ইউএনওপিএস-এর দীর্ঘদিনের উপস্থিতি রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, সংগঠনটি সক্ষমতা উন্নয়ন, পরিকাঠামো নির্মাণ এবং জাতীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সংগ্রহ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, অর্থ এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সহায়তা। এর লক্ষ্য হল অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির বিরুদ্ধে সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং তাদের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করা। ইউএনওপিএস-এর বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে সরকারি ক্ষেত্রের জবাবদিহিতার অনন্য সংমিশ্রণ একটি শক্তিশালী মূল্য প্রস্তাব নিয়ে আসে।
বাংলাদেশের সাথে ইউএনওপিএস-এর অংশীদারিত্বের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন ছিল 'স্ট্রেঞ্জথেনিং হিউম্যানিটেরিয়ান প্রিপারেডনেস এন্ড রেসপন্স প্রোগ্র্যাম ইন বাংলাদেশ'-এর জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা এজেন্ট হিসেবে এর ভূমিকা। ইউনাইটেড কিংডমের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে, এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। এটি শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেসের উন্নতি করেছে এবং মৌলিক খাদ্যের চাহিদাগুলি পূরণ করেছে।
ইউএনওপিএস রেডিমেড গার্মেন্ট (আরএমজি) সেক্টরে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছে। সংস্থাটি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) বিশেষায়িত ল্যাবরেটরি সরঞ্জাম সংগ্রহন এবং ইনস্টলেশন এ সহায়তা এবং ভ্যাকসিন পরীক্ষা পরীক্ষাগার শক্তিশালীকরণে সহায়তা করেছে। পুনশ্চ, ইউএনওপিএস দেশব্যাপী ২৯টি সরকারি হাসপাতালে প্রেসার-সুইং অ্যাডসর্পশন (পিএসএ) প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও ইনস্টল করার মাধ্যমে বাংলাদেশে অক্সিজেন থেরাপির ক্ষমতা সম্প্রসারণে অবদান রেখেছে।
হোস্ট কান্ট্রি এগ্রিমেন্ট (এইচসিএ) বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে সমর্থন করার জন্য ইউএনওপিএস-এর অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করে। এটি টেকসই উন্নয়ন, স্থিতিস্থাপকতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এমন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে অব্যাহত সহযোগিতা জোরদার করে ইউএনওপিএস এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সহযোগিতা সহজতর ও বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ইউএনওপিএস-এর নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি।
************
মিডিয়া যোগাযোগে:
শিরিন সুলতানা, পার্টনারশিপ এডভাইজার
ইমেল: shirins@unops.org; মোবাইল: ০১৭১১৯০২১২