প্রেস রিলিজ

বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও প্রোগ্রাম কর্মসূচীর মাধ্যমে জাতিসংঘের বিশ্ব শান্তি দিবস উদযাপন

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশন এবং আর্থসামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ব শান্তি দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। 

এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ১৯টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে ২৮ জেলায় বিশেষ শান্তি বার্তা প্রচার করা হবে। সেই বার্তায় শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের মধ্যে যে যোগসূত্র রয়েছে, তা তুলে ধরা হবে। বার্তাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের উদ্যোগে। এতে বক্তব্য রেখেছেনঃ- শিক্ষামূলক অনলাইন প্ল্যাটফরম টেন মিনিট স্কুলের শিক্ষক সাকিব রশিদ; ক্রিকেটার জাহানারা আলম, বাংলাদেশে অ্যাকশনএইড এনজিও-এর পরিচালক ফারাহ কবির; বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব সঞ্জীব দ্রং; এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিসের উন্নয়ন সমন্বয় কর্মকর্তা হালিমা নেয়ামত। 

সবার জন্য আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে ১৯৮১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিশ্ব শান্তি দিবসের ঘোষণা দেয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য–  একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বের পরিকল্পনা: বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জন আমাদের আকাঙ্ক্ষা!  

এই প্রতিপাদ্য শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের পারস্পরিক যোগসূত্রের আলোকপাত করে। ভয় ও সহিংসতামুক্ত, ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) অর্জন অপরিহার্য। আর টেকসই উন্নয়ন অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখে শান্তি। কাজেই এসডিজি অর্জনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও তা ধরে রাখা জরুরি। 

বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমাদের জীবন ও আমাদের বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে বাংলাদেশ কমিউনিটি রেডিও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করে, আমরা বিশ্ব শান্তি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশজুড়ে অনুপ্রেরণাদায়ী বার্তা ছড়িয়ে দিতে পেরেছি।’  

তিনি আরও বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সবার অন্তর্ভূক্তি, সমতা ও সংহতি নিশ্চিতে ব্যক্তি পর্যায়ের ও সামগ্রিক পদক্ষেপ এবং প্রাণবন্ত সামাজিক অংশগ্রহণ অপরিহার্য। শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সবারই দায়িত্ব রয়েছে।’

২০২৩ সালে এমন সময় বিশ্ব শান্তি দিবস উদযাপন করা হচ্ছে যখন নিউইয়র্কে এসডিজি সম্মেলন চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের ক্ষেত্রে, এই সময়টাকে একটি  গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ বছর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং গণহত্যা প্রতিরোধ ও  দণ্ড বিষয়ক সনদ ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘শান্তি হলো গৃহীত পদক্ষেপের ফলাফল। সেই পদক্ষেপ হতে হবে এমন যা টেকসই উন্নয়ন অর্জনের গতি বাড়িয়ে দেয় এবং কেউ যেন পেছনে পড়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করে। সেই পদক্ষেপ হতে হবে এমন যা আমাদের এই পৃথিবীতে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় এবং যুদ্ধের অভিঘাত কাটিয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করে। বিশেষত, যেহেতু আমরা সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, কাজেই সেই পদক্ষেপ হতে হবে এমন, যা প্রতিটা মানুষের মানবাধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করে ও সমুন্নত রাখে। 

জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর বাণী শেষ করেছেন এই বলে যে ‘শান্তি কেবল মানবতার কোনো মহান দৃষ্টিভঙ্গি বা দর্শন নয়ঃ শান্তি হলো এমন আহ্বান, যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে। আসুন আমরা সবার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠার ও শান্তি রক্ষার অঙ্গীকার করি।’ 

জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণীটি ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে জাতিসংঘ ওয়েবসাইটে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। আরও জানতে পড়ুনঃ https://tinyurl.com/mv9rdj52 

রেডিও বার্তার লিঙ্ক বাংলাদেশে জাতিসংঘের এক্স (টুইটার) ও  ফেসবুক - এ পাওয়া যাবে।

 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

আরসিও
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি