জেন্ডার সমতার অগ্রগতির উপর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশী নারী নেতৃবৃন্দের যৌথ গোলটেবিল আলোচনা
বাংলাদেশে নারীর ভূমিকা: আর্থসামাজিক ব্যাবস্থায় নারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধা
সরকারী, বেসরকারী সেক্টর, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং এনজিও সেক্টরে কমর্রত ৩০জন বিশিষ্ট নারী নেত্রী, জেন্ডার সমতার অগ্রগতির বিষয়ে, জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত একটি গোলটেবিলে অংশ নেন।
"বাংলাদেশে নারীর ভূমিকা: আর্থসামাজিক ব্যাবস্থায় নারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ-সুবিধা" শিরোনামের গোলটেবিল, নারী নেতৃবৃন্দকে জেন্ডার সমতাকে আরও অগ্রসর করার জন্য, বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে, একত্রে প্রতিফলনা করার সুযোগ দিয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা এই বিষয়টির উপর নিবদ্ধ করে: কীভাবে বৈষম্যহীনতা নিশ্চিত করা যায়; এবং কিভাবে বাংলাদেশে নারী ও মেয়েরা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন তা মোকাবেলা করবেন, তা আলোচনা করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী; এবং সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক, গোয়েন লুইস। অনুষ্ঠানে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীরা হলেন - বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ড; ইউএন উইমেন প্রতিনিধি, গীতাঞ্জলি সিং; এবং ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি, ক্রিস্টিন ব্লোখস।
সমাজে নারীর ভূমিকার গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করে, সংসদের স্পিকার এইচ.ই. ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী, উল্লেখ করেন যে: “একটি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আমাদের কাঠামোগত বাধাগুলি মোকাবেলা করতে হবে, যা আমাদের অর্থনৈতিক জীবনে, নারীর পূর্ণ সম্ভাবনাকে পূরণ করতে বাধা দেয়। টেকসই উন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য আমাদের এই কার্যকলাপের প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন আমরা একটি এলডিসি দেশের অবস্থা থেকে, আরো উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি।"
তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, গোয়েন লুইস, টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে এই অগ্রগতি অনেকাংশে নারীদের অসাধারণ অবদান দ্বারা চালিত হয়েছে। তিনি বলেন, “গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ তার উন্নয়ন যাত্রায় অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করেছে। জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব এবং নেতৃত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু, একটি বিশাল প্রয়োজনীয় সম্ভাবনা এখনো অপূরণীয় রয়েছে, যা শুধুমাত্র নারী ও মেয়েদের জন্য বিনিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে। নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি এবং সামাজিক সুরক্ষা, উৎপাদন ক্ষমতার জন্য আমাদের তহবিল দরকার; তাদের বৈষম্য থেকে সুরক্ষা প্রয়োজন। এই বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নারী ও মেয়েরা, নিজেদের পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়ে, জনজীবনে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।”
গোলটেবিলে, অংশগ্রহণকারীরা - তাঁদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, তারা যে সাফল্য অর্জন করেছে এবং তাদের চ্যালেঞ্জগুলি মুখোমুখি হন - সে বিষয়ে মতামত পেশ করেন। তাঁরা নারীর প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্বের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন। সবশেষে, তাঁরা বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাকে এগিয়ে নিতে যৌথভাবে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য পদক্ষেপগুলি চিহ্নিত করেন।