প্রেস রিলিজ

ইউনিসেফ ও জাপান ভাসানচর ও কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শিশু এবং স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনমানের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে

০৩ মার্চ ২০২৪

ঢাকা, ১ মার্চ ২০২৪

ফটো: © UNICEF Bangladesh/2024

জাপান সরকারের দেওয়া ২৭ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান নিয়ে ইউনিসেফ নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপ ও কক্সবাজার জেলায় বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু ও নারী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। 

কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য বহুমুখী মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রকল্পের (দ্য প্রজেক্ট ফর মাল্টিপল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স ফর ডিসপ্লেসড পারসনস ফ্রম মিয়ানমার ইন কক্স’স বাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড ভাসানচর) মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসানচর আশ্রয় শিবিরের এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিবর্গ সহায়তা পাবেন।     

এই প্রকল্পের আওতায় একটি সমন্বিত ও বহুমুখী মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা (পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা), স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি এবং শিশু ও তাদের পরিবারের পুষ্টি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন সাধনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। 

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “রোহিঙ্গা শিশুরা যেন পরিপূর্ণভাবে তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই। তাছাড়া নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা না থাকলে শিশুরা নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। এতে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে এবং তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হুমকির মুখে পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য এই মহান ভূমিকা রাখায় আমরা জাপান সরকার ও দেশটির জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই অমূল্য সহায়তার কারণে আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো জোরদার করা, জীবন বাঁচানো এবং রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারকে জীবনরক্ষার একটি উপায় করে দিতে সক্ষম হব।”

জাপান সরকারের এই সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়ের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

তিনি বলেন, “আমি উদ্বিগ্ন যে, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ায় এই শিশুদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। জাপান রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ এই সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখবে। আমি আশা করি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শিশুরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, সেগুলো লাঘবে জাপানের এই অর্থায়ন ভূমিকা রাখবে।” 

রোহিঙ্গা সংকট শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্টে। তখন থেকে বাংলাদেশে এই শরণার্থীদের প্রয়োজনগুলো পূরণে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো দেশ জাপান। ইউনিসেফের  কর্মসূচিগুলোতে নতুন এই তহবিল প্রদানসহ জাপান চার কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছে এবং এই সংকটের শিকার হাজার হাজার মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে সহায়তা করেছে।

 

আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:

 

কুসালি নিলি কুবওয়ালো, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, টেলিফোন: +8801847327230, knkubwalo@unicef.org 

ফারিয়া সেলিম, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, টেলিফোন: +8801817586096, fselim@unicef.org 

এই উদ্যোগে জাতিসংঘের যে সকল সংস্থা যুক্ত

ইউনিসেফ
জাতিসংঘ শিশু-বিষয়ক সংস্থা

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা যে টেকসই লক্ষ্যগুলোকে সমর্থন দিচ্ছি