বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর বাণী
০১ অক্টোবর ২০২৩
২ অক্টোবর, ২০২৩
এ বছর বিশ্ব বসতি দিবস ‘সহনশীল নগর অর্থনীতিতে’ আলোকপাত করছে। পাশাপাশি অন্তর্ভূক্তিমূলক, সবুজ ও টেকসই অগ্রগতিতে শহর–নগরের সম্ভাবনাগুলোয়ও দৃষ্টিপাত করছে ।
এসব সম্ভাবনা পুরোপুরি অর্জন করতে শহর–নগরগুলোকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে যেমন অর্থনৈতিক সমস্যা ও জলবায়ু জরুরি পরিস্থিতি যেমন রয়েছে, একইভাবে রয়েছে ক্রমেই বেড়ে চলা অসমতাসহ আরও নানা চ্যালেঞ্জ।
এসব সংকট মোকাবেলা এবং টেকসই নগরায়নকে এগিয়ে নিতে আমরা আমাদের ‘লোকাল ২০৩০ কোয়ালিশন’–এর মাধ্যমে পুরো জাতিসংঘ ব্যবস্থার সাথে কাজ করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় পর্যায়ে শূন্য বর্জ্য উদ্যোগ চক্র অর্থনীতিকে (অর্থনীতির যে মডেলে বিনিময়, পুনর্ব্যবহার ও সংস্কারের মাধ্যমে পণ্যের তুলনামূলক দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়) সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সবুজায়ন বৃদ্ধিতে, নানা সরকারি উদ্যোগ - তাপদাহের সময় ও নগরাঞ্চলকে শীতল রাখতে – বিশেষ ভূমিকা রাখে। খাদ্য বর্জ্য কমাতে এবং স্থানীয় পণ্যের প্রসার ঘটাতে সামাজিক উদ্যোগ আমাদের খাদ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখে।
ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে আরও ভালোভাবে রক্ষায় টেকসই অবকাঠামো, আগাম সতর্ক সংকেত ব্যবস্থা এবং সবার জন্য সুলভ, উপযুক্ত আবাসনে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের অবশ্যই বিদ্যুৎ, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, পরিবহন ও অন্যান্য মৌলিক সেবার উন্নয়নে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরিতেও বিনিয়োগ করতে হবে।
স্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি বৈশ্বিক পদক্ষেপও অপরিহার্য।
এবারের এই বিশ্ব বসতি দিবসে আসুন আমরা সব জায়গায় সবার জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক, নিরাপদ, সহনশীল ও টেকসই মানব বসতি গড়ার অঙ্গীকার করি।